ঢাকা,  বুধবার  ১৭ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নাটোরে বাব-ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৫:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নাটোরে বাব-ছেলে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন

বাব-ছেলে

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষায় একসঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছেন বাবা ও ছেলে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন তারা। বাবা ইমামুল ইসলাম এবং ছেলে আবু রায়হানের বাড়ি উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের চকতকিনগর গ্রামে।

ইমামুল ইসলামের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, লেখাপড়া করার একান্ত ইচ্ছা থাকার পরেও সংসারের অভাবের কারণে অষ্টম শ্রেণি পাশ করার পরে আর স্কুলে যাওয়া হয়নি ইমামুলের। ২৪ বছর আগে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় পড়ি জমান তিনি। সেখানে গার্মেন্টসে কাজ করেন প্রায় ১৮ বছর। পরে কাজ ছেড়ে ২০১৬ সালে বাড়িতে চলে আসেন। এসে আম বাগানের ব্যবসা ও বাড়ির পাশে একটি ছোট্ট মুদিখানা দোকান করেন তিনি। কিন্তু বুকে চাপা থাকা লেখা পড়ার সেই ইচ্ছা তাকে মাঝে মধ্যেই পীড়া দেয়। চক্ষু লজ্জায় সেটি হয়ে উঠেনা। পরে সেই ইচ্ছে পূরণে অবশেষে ২০২০ সালে ছেলের সঙ্গে বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ভোকেশনাল শাখার নবম শ্রেণিতে ড্রেস মেকিং ট্রেডে ভর্তি হন তিনি। আর ছেলে রায়হান ভর্তি হয় ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডে।

বাবা ইমামুল ইসলাম জানান, সমাজে আর দশটা মানুষের মতো যেন নিজেকেও একজন শিক্ষিত মানুষ হিসেবে যাতে পরিচয় দিতে পারেন, সে উদ্দেশ্যেই এই বয়সে আবার লেখাপড়া শুরু করেছেন। অভাবের সংসারে পড়ার কথা ভাবারই সময় হয়নি। অবশেষে ছেলের সঙ্গে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন করে পড়ালেখা শুরু করেছেন।

বাগাতিপাড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র কেন্দ্র সচিব সামসুন্নাহার এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষার আসলে কোনো বয়স নেই। তিনি এই বয়সে সেটা বুঝতে পেরে লেখা পড়া শুরু করেছেন সেজন্য তাকে ধন্যবাদ। আর আমি বাবা-ছেলে দু-জনেরই সাফল্য কামনা করি।