ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

উঠানে খেলছিল শিশু ছেলে, ঘরে ঢুকে ফাঁস দিলেন বাবা

প্রকাশিত: ২৩:৪৮, ৯ আগস্ট ২০২২

উঠানে খেলছিল শিশু ছেলে, ঘরে ঢুকে ফাঁস দিলেন বাবা

উঠানে খেলছিল শিশু ছেলে, ঘরে ঢুকে ফাঁস দিলেন বাবা

বাড়ির উঠানে খেলাধুলা করছিল ১০ বছরের শিশু ছেলে মাইনুদ্দিন। তার মা ও বড় ভাই গিয়েছিল বাজারে। এর ফাঁকে গোসল শেষে ঘরের-দরজা জানালা বন্ধ করে ধর্নার সঙ্গে গলায় রশি বেঁধে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বাবা ছাইদুল ইসলাম (৩৭)। 

মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৪টায় এমন ঘটনা ঘটে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের সারপলশিয়া গ্রামে আব্দুল মজিদের বাড়িতে।

নিহত ছাইদুল ইসলাম (৩৭) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পীর কাশিমপুর গ্রামের মৃত বশির আহমেদের ছেলে। তিনি উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু ক্যান্টনমেন্টের ১১ আরই ব্যাটালিয়নের জাহাজ স্টাফ ও সিভিল ইলেক্ট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সারপলিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ মিয়ার বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাজার থেকে ছাইদুল ইসলামের স্ত্রী ও তার বড় ছেলে হাসান বাড়িতে এসে দেখতে পান ছোট ছেলে মাইনুদ্দিন কান্না করছে। এ সময় ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ দেখে তার বাবাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। একপর্যায়ে জানালার ফাঁক দিয়ে দেখে হাসানের বাবা ছাইদুল ইসলাম ঘরের ধর্নার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আছে। পরে ডাক-চিৎকার করলে আশপাশের লোকজনকে ছুটে আসে এবং সেনাবাহিনী ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

এদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেনা বাহিনীর সিভিল সদস্য ও জাহাজের স্টাফ ছাইদুল ইসলাম প্রায় ৩ ধরে পাইলসের সমস্যায় ভুগছিলেন। হয়তো বা সেই কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে পারিবারিকভাবে কোনো কলহ বা দ্বন্দ্ব ছিল না।

এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাত জানান, আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল করা হয়ে হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন। কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।