ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কুমিরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, বেঁচে ফিরল যুবক

প্রকাশিত: ২২:২৫, ৯ আগস্ট ২০২২

কুমিরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, বেঁচে ফিরল যুবক

ছবি: সংগৃহীত

সুন্দরবনে গোসল করতে নেমে কুমিরের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রাণে বেঁচে ফিরলেন রাজু হাওলাদার নামে অনার্স পড়ুয়া এক যুবক। 

মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে যুবককে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চোখে আঙুল দিয়ে কুমিরটিকে দুর্বল করতে পেরে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।

রাজু হাওলাদার পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউপির পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে।

চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী জানান, ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামেন রাজু। নামতেই একটি কুমির তাকে আক্রমণ করে। কুমিরটি রাজুর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে কামড়ে ধরে। তখন কুমিরের সঙ্গে রাজুর ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেন রাজু। চোখে আঘাত পেয়ে কুমিরটি রাজুর পায়ের কামড় ছেড়ে দেয়। তখন তিনি দ্রুত ডাঙায় উঠে আসেন। কুমিরটি খালে ডুব দিয়ে চলে যায়।

কুমিরের কামড়ে রাজুর পায়ের ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ ও বাড়িতে আছেন।

বন কর্মকর্তা সাইফুল বারী বলেন, ঘটনার সময় খালে ভাটা থাকায় পানি কম ছিল। ভরা জোয়ার থাকলে কুমির কামড়ে ধরে পানির গভীরে নিয়ে গেলে বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই থাকতো না। 

রাজু হাওলাদার খুলনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স পড়ছেন। তাদের বাড়ি পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী খালের পাশেই। বাড়িতে আসার পর রাজুকে খালে নেমে গোসল করতে নিষেধ করে তার পরিবার।  

বন কর্মকর্তা সাইফুল বারী বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায় সময়ই বড় বড় দুইটি কুমির দেখা যায়। বনবিভাগের পক্ষ থেকে খালের পাড়ের আশপাশের মানুষদের খালে নামতে প্রতিনিয়ত নিষেধ করা হচ্ছে। তারপরও তারা তা না শুনে খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামেন। যে কারণে মাঝে মধ্যেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হন এখানকার মানুষ।