ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

হেলিকপ্টারে কুয়েতি ধনকুবের মুন্সীগঞ্জে

প্রকাশিত: ১০:৫৪, ৫ আগস্ট ২০২২

হেলিকপ্টারে কুয়েতি ধনকুবের মুন্সীগঞ্জে

হেলিকপ্টারে কুয়েতি ধনকুবের মুন্সীগঞ্জে

হেলিকপ্টারে উড়ে কুয়েতি ধনকুবের আল-আজমী ফাহাদ আসলেন মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম লতব্দী খিদিরপুরে।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তার হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে। পরে তিনি গ্রামটির এসএম হেলালের বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। হেলাল ১৫ বছর ধরে কুয়েতে আছেন এবং আল-আজমী ফাহাদের সঙ্গে ব্যবসা করেন।

বাংলাদেশের সবুজ-সতেজ গ্রাম দেখে অভিভূত ফাহাদ। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলার বর্ষাকালের প্রকৃতি তাকে মুগ্ধ করেছে। বাংলাদেশে দুবার এলেও প্রথম এ গ্রামে আসলেন তিনি।

কালো রঙয়ের হেলিকপ্টারটি অবতরণ করতেই ধনকুবের ফাহাদের সঙ্গে নেমে আসেন হেলাল ও স্ত্রী লাকী বেগম এবং তার ছেলে ইমদাত হোসেন। গ্রামে হেলিকপ্টার দেখে কৌতূহলী মানুষের ভিড় পড়ে যায়।

গ্রামটিতে দুই ঘণ্টা অবস্থানকালে এ ধনকুবের অনেকের সঙ্গেই মিশেন এবং ছবি তোলেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে আবার হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় যান তিনি। এ সময়ে এ ধনকুবেরকে এগিয়ে দিতে সঙ্গে হেলিকপ্টারে উঠেন হেলাল ও তার মা হেলেনা বেগম ও শাশুড়ি পুষ্প বেগম। পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে রাতের ফ্লাইটে কুয়েতের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।

হেলালের চাচা আশরাফ হোসেন ঝন্টু জানান, ঈদের দুই দিন আগে এ ধনকুবের বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। ছিলেন রাজধানী ঢাকায়। এরপর তিনি এক সপ্তাহের জন্য হেলালকে সঙ্গে নিয়ে থাইল্যান্ড বেড়াতে যান। বৃহস্পতিবার থাই এয়ারলাইন্সে দুপুরে ঢাকায় অবতরণ করেই হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে আসেন।

এ ধনকুবের দুই ঘণ্টা অবস্থানকালে হেলিকপ্টারটি নিয়ে নিরাপদে রাখা হয় সিরাজদিখানের মধ্যপাড়া ডালি আম্বার রিসোর্টে। সেখানে যাওয়া-আসার সময় পাইলটের সঙ্গে তখন হেলিকপ্টারে উড়েন হেলালের চাচা আশরাফ হোসেন ঝন্টু, তার কন্যা আলিফ জা আক্তার এবং হেলালের দুই মেয়ে হিমু আক্তার ও রিয়া আক্তার।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে সিরাজদিখানে আসা যাওয়ার এ সময়ের জন্য হেলিকপ্টারের ভাড়া আসে ৮০ হাজার টাকা।

হেলিকপ্টার থেকে অবতরণের পর ধনকুবেরকে অভ্যর্থনা জানান লতব্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মুক্তার হোসেন ও হেলালের স্বজনরা।

কুয়েতের নাগরিক আল-আজমী ফাহাদ বলেন, ‘গ্রামবাংলার অপরূপ সৌন্দর্য আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বাংলাদেশের মানুষজন খুব অতিথিপরায়ণ। তাই সময় পেলে গ্রামবাংলার সৌন্দর্য দেখার জন্য আবার আসব।’