ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৮ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বিয়ের দাবিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে দুই সন্তানের জননী

প্রকাশিত: ২১:০৩, ২৮ জুলাই ২০২২

বিয়ের দাবিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর বাড়িতে দুই সন্তানের জননী

বিয়ের দাবিতে অনশন

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীর (১৭) বাড়িতে দুইদিন ধরে অনশন করছেন দুই সন্তানের জননী (২৪)। 

গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টা থেকে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নে ওই কিশোরের বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রেমিকা আসার খবরে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক। বিয়ে না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ওই গৃহবধূ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ওই গৃহবধূর সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেন তিনি।

অনশনরত গৃহবধূ বলেন, ‘একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় তার সঙ্গে অনেক আগেই পরিচয় ছিল। কিন্তু রোজার ঈদের কিছুদিন আগে থেকে আমরা ফোনে কথা বলি। ঈদের কিছুদিন পর থেকে প্রেমের সম্পর্ক হয়। একদিন ইমোতে কথা বলার সময় সে আমার আপত্তিকর ছবি চায়। সেই ছবি দেওয়ার পর সে ব্ল্যাকমেইল করে এবং শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দেয়। বাধ্য হয়ে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক রাত তার বাড়িতে যাই। আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। সে সময় আমাকে বিয়ে করবে এবং আমার মেয়েদের দায়িত্ব নেবে বলে আশ্বাস দেয়। গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে তার বাড়িতে অবস্থান নিই। কিন্তু এসে জানতে পারি সে বাড়িতে নেই।’

গৃহবধূ আরও বলেন, ‘সে না আসা পর্যন্ত আমি এখানেই অনশন করবো এবং আমার সঙ্গে যা ঘটেছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত কিশোরের বড় বোন বলেন, ‘মেয়েটি যখন আসে তখন তার সঙ্গে ৮-১০ জন ছেলেও আসে। তারা আমাদের বাড়ির সামনের ইটের প্রাচীর ও গেট ভেঙে ওই নারীকে বাড়ির ভেতর ঢুকিয়ে দেয়।’

মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর সেখানে গিয়েছিলাম। ওই গৃহবধূকে কিশোরের বাড়ির লোকদের জিম্মায় রেখে এসেছি। একই সঙ্গে সেই ছেলেকে হাজির করতে বলে এসেছি। সে এলে একটা সমাধান হবে।’

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর ফোর্স পাঠানো হয়। কিন্তু বিষয়টি পারিবারিক হওয়ায় স্থানীয়ভাবে সমাধান করতে বলা হয়েছে। আর যদি তারা লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।