ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পেট ফেটে বের হওয়া সেই শিশুকে অনেকেই দত্তক নিতে চাইছেন

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ১৮ জুলাই ২০২২

পেট ফেটে বের হওয়া সেই শিশুকে অনেকেই দত্তক নিতে চাইছেন

পেট ফেটে বের হওয়া সেই শিশু

সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয়া নবজাতকটির ঠাঁই হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর লাবীব হাসপাতালে। ভাঙা হাত নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় জীবনযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে জন্মলগ্নেই বাবা-মা হারানো নবজাতকটি। অনেকেই তাকে দত্তক নিতে চাইলেও আপাতত হাসপাতালের তত্ত্বাবধানেই আছে শিশুটি।

রোববার (১৭ জুলাই) ময়মনসিংহ নগরীর লাবীব হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শারীরিকভাবে শঙ্কামুক্ত হলেও স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। পরম মমতায় খাওয়ানো হচ্ছে হাসপাতালটির নার্সদের বুকের দুধ।

জানা গেছে, বাবা-মা হারানো নবজাতকটিকে অনেকেই দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে শিশুটিকে আপাতত হাসপাতালের তত্ত্বাবধানেই রাখা হয়েছে। বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসার প্রতি বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। তবে শিশুটি আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ আছে বলে জানা গেছে।

কমিউনিটি বেজড হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ভাঙা হাতটি সেরে উঠতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

এদিকে ওই শিশুটির নিহত বাবা-মাসহ পরিবারের তিনজনকে দাফন করা হয়েছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে নিজ বসতঘরের সামনে। নিহতের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বইছে শোকের মাতম।

গত শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে মহাসড়ক পারাপারের সময় ট্রাকচাপায় স্বামী-অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী-মেয়ের (৫ বছর বয়সী) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত নারীর গর্ভে থাকা নবজাতকটি অলৌকিকভাবে পৃথিবীতে আসে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাড়ি থেকে ত্রিশাল এসেছিলেন জাহাঙ্গীর। কিন্তু মহাসড়ক পার হওয়ার সময় একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই স্বামী-স্ত্রী-শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়। এ সময় ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রত্না বেগমের পেট ফেটে নবজাতক সন্তানটি বের হয়ে আসে।  

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ট্রাকচাপায় তার পেট ফেটে শিশুসন্তানটি বের হয়ে আসে। তবে শিশুটি জীবিত আছে।