ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মামীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় যুবদল নেতা আটক

প্রকাশিত: ২২:১৫, ১৬ জুলাই ২০২২

মামীর ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় যুবদল নেতা আটক

আটক যুবদল নেতা

দীর্ঘ দুই বছরের প্রেম। তাও নিজ মামীর সঙ্গে। সম্পর্কের খাতিরে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা হয়। হাতেনাতে ধরা খেলেও মামী-ভাগনের প্রেমে ধরেনি ফাটল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অবশেষে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধরা খেয়েছেন প্রতিবেশীর হাতে। আর ভাগনেকে যেতে হয়েছে শ্রীঘরে।

ঘটনাটি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারমোর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশীর হাতে ধরা খাওয়া ভাগনের নাম নুরুজ্জামান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদিতমারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার পর নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। 

৪৫ বছর বয়সী নুরুজ্জামান চন্দ্রপুর ইউনিয়নের নুরুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। 

সারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন জানান, আট বছর আগে সারপুকুর ইউনিয়নের দেল্লারপাড় এলাকার এক তরুণীকে বিয়ে করেন নুরুজ্জামানের মামা। তাদের ঘরে একটি মেয়েরও জন্ম হয়। এর মধ্যেই মামীর প্রতি কুনজর পড়ে নুরুজ্জামানের। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান মামা। তাই পথের কাঁটা সরাতে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে মামাকে কারাগারে পাঠান প্রভাবশালী ভাগনে।  

এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে মামীকে সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করেন। মামা কারাগারে থাকায় মামীর সঙ্গে প্রায়ই রাত কাটাতেন নুরুজ্জামান। এরই মধ্যে জামিনে মুক্তি পান মামা। এরপরও মামা বাড়িতে না থাকলে মামীর কাছে আসতেন ভাগনে। একই সঙ্গে মামীর জন্য লোভনীয় জিনিসপত্রও আনতেন। আর এসব দেখে ভাগনের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন মামী। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশও হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে মামীকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন মামা।

প্রায় এক বছর ধরে বাবার বাড়িতেই রয়েছেন মামী। কিন্তু সেখানেও যাতায়াত ছিল ভাগনে নুরুজ্জামানের। এ নিয়ে প্রতিবেশীদের সন্দেহ বাড়তে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার ভাগনের অপেক্ষায় থাকেন প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে মামী-ভাগনেকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে ধরে ফেলেন তারা।

আদিতমারী থানার ওসি মোক্তারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর নুরুজ্জামাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।