ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা লিখে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ১৬:২৮, ১৬ জুলাই ২০২২

মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা লিখে যুবকের আত্মহত্যা

মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা লিখে যুবকের আত্মহত্যা

ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট হাউজিং এস্টেটে সবুজ ঢালি নামের এক যুবকের আত্মহত্যার সংবাদ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে হাউজিং এস্টেট এলাকার বি-ব্লকের অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেনের বাসার দোতলার একটি কক্ষ থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সবুজ ঢালি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি থানার বানিয়া গ্রামের আব্দুল হাসেম ঢালির ছেলে। তার লাশের পাশে একটি নোট উদ্ধার করা হয়। সেখানে তিনি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে মৃত মায়ের কাছে চলে যাওয়ার কথা লিখে যান।

মানসিক বিকারগ্রস্ততা থেকে তিনি এই পথ বেছে নেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।

নিহত সবুজের ভাই জসিম ঢালি জানান, স্ত্রী-সন্তান ও ছোট ভাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় আমরা থাকি। রাত ৮টার দিকে বাড়ির মালিকের ছেলে ফোন করে জানায়, তার বাচ্চারা বাইরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আপনার বাসার দরজা ভেতর থেকে আটকানো। বাচ্চাগুলো ঘরে ঢুকতে পারছে না। তাছাড়া বাচ্চাদের মা পার্লারে চাকরি করেন। তিনিও বাসায় নেই। এ খবর পেয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় এসে দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ছোট ভাইয়ের লাশ দড়ির সাথে ঝুলতে দেখি।

নিহতের ভাবি লিজা বেগম জানান, ‘গত চার মাস হলো তারা এখানে ভাড়া উঠেছেন। তিন মাস যাবত তার দেবর তাদের সাথেই থাকছেন। দুপুর ১টার দিকে দু‘জনে খাওয়া-দাওয়ার পর তিনি পার্লারের কাজে চলে যান। বিকেল ৪টা ১৬ মিনিটে সবুজ তাকে ফোন করে জানতে
চায় রান্না করতে হবে কি না? আর আমাদের আসতে দেরি হবে কিনা? এতটুকুই তার সাথে শেষ কথা।’

পরিবারের লোকেরা জানান, আগে তিনি একটা ব্যবসা করতেন। মাথা ব্যথা ও অসুস্থতার জন্য তিনি এখন কিছু করেন না। বছর দেড়েক আগে তার মা মারা যান।

মৃত্যুর আগে লেখা নোটে সবুজ লিখেছে, 'আমি খারাপ তাই চলে গেলাম। সবাই আমাকে মাফ করে দেবেন। আমি জানি না আমার কী হবে। ০১৬০৮০৭০৮৭৫ নম্বরে আমি ওর কাছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা পাই। ভাই মাফ করে দেবেন। আমি মায়ের কাছে চলে গেলাম।’

ঘটনাস্থল থেকে ফিরে কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাশার জানান, ডাইনিং রুমের ফ্যানের হুকের সাথে নাইলনের রশিতে ঝুলে সবুজ আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এ সময় পাশের রুমের ওয়ারড্রপের ওপর রাখা নিহতের মানিব্যাগের মধ্যে ওই নোটটি পাওয়া যায়।