ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যমজ ছেলের মা রুমার মাথা গোঁজার ঠাঁই করছে সরকার

প্রকাশিত: ১৭:২১, ২ জুলাই ২০২২

যমজ ছেলের মা রুমার মাথা গোঁজার ঠাঁই করছে সরকার

রুমার মাথা গোঁজার ঠাঁই করছে সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যমজ পুত্র জন্ম দেয়া রুমা আক্তারের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছে সরকার। পাশাপাশি তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হবে। কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর রুমার আক্তারের বিষয়ে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীর নজরে আসে।

জেলা প্রশাসক বলেন, রুমা আক্তারকে আখাউড়া উপজেলার চর-নারায়ণপুর এলাকার আশ্রয়ন প্রকল্পে একটি ঘর দেওয়া হবে। এছাড়া তাকে মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হবে। তাকে সুবিধাভোগীর আওতায় এনে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আত্মনির্ভরশীলতার জন্য সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সর্বোপরি তিনি যেন পিছিয়ে না পড়েন সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। ইতিমধ্যেই আখাউড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসিল্যান্ড গিয়ে দেখে এসেছেন এবং নগদ দুই হাজার টাকার ফল দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে নগদ ১০ হাজার টাকা।

উল্লেখ্য গত ৩০ জুন আখাউড়ায় অসহায় নবজাতকের নাম হাসান-হোসেন নামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর আগে গত ২৯ জুন রাতে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুমা আক্তার-(৩০) নামে এক অসহায় নারী দুই পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন।

রুমা আক্তারের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়। ছোট বেলাতেই সৎ মায়ের অত্যাচারে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রুমা আক্তার। বড় হন বিভিন্ন স্থানে। কয়েক বছর আগে চলে আসেন আখাউড়ার খড়মপুরে। সেখানে থাকার সময়ই হবিগঞ্জের যুবক ইব্রাহিম মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয়। পেশায় দিন মজুর ইব্রাহিমকে নিয়ে রুমা বসবাস করতেন আখাউড়া পৌর শহরে ভাড়া বাসায়।

দাম্পত্য জীবনে তাদের এক কন্যা সন্তান জন্ম হয়। স্বামীকে নিয়ে ভালোই ছিলেন রুমা আক্তার। রুমা দ্বিতীয়বার গর্ভধারনের পর গত ৮ বছর আগে ইব্রাহিম মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পরে কন্যা নিয়ে চলে যান দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে। রুমা জানেন না বর্তমানে তার স্বামী ও কন্যা কোথায় আছে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিমেল খান বলেন, হাসপাতাল থেকে ওই নারী ও নবজাতকদের সব ধরণের সেবা দেওয়া হচ্ছে। সবাই আন্তরিকভাবে অসহায় ওই নারী ও তার সন্তানদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।