ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নারী পোশাককর্মীকে পিটিয়ে হত্যায় যুবদল নেতাসহ আটক ২

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ২ মে ২০২২

নারী পোশাককর্মীকে পিটিয়ে হত্যায় যুবদল নেতাসহ আটক ২

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সমাজচ্যুত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঝলকি খাতুন নামে এক পোশাককর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন যুবদল নেতা রুহুল আমিন ও তার লোকজন। এ ঘটনায় যুবদল নেতা রুহুল আমিনসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

নিহত ঝলকি উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম গুয়াডহরী গ্রামের ভ্যানচালক জিল্লুর রহমান মোহনের স্ত্রী।

রোববার রাত ১০টার দিকে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝলকির মৃত্যু হয়। এর আগে রোববার দুপুরের দিকে ঝলকিসহ তার পরিবারের লোকজনকে নিজ বাড়িতে পিটিয়ে আহত করেন যুবদল নেতা রুহুল আমিন ও তার লোকজন।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার জামগড়া এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় প্রায় ১৮ বছর ধরে চাকরি করতেন ঝলকি খাতুন। তার স্বামী জিল্লুর রহমান প্রতিবন্ধী ছেলে মিলন রহমানকে নিয়ে বাড়িতে থেকে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। রোববার দুপুরের দিকে ঝলকি খাতুন ছুটি নিয়ে ঢাকার কর্মস্থল থেকে স্বামীর বাড়িতে আসেন।

এদিকে একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে গোসাইবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন রতন। প্রায় তিন মাস আগে প্রতিবেশী এক বিধবাকে যৌন নির্যাতন করেন জিল্লুর রহমান। এ ঘটনায় ঐ নারী যুবদল নেতা রুহুল আমিনের কাছে বিচারপ্রার্থী হন। ফলে জিল্লুর রহমান ও তার পরিবারকে সমাজচ্যুত করেন যুবদল নেতা।

রোববার দুপুরের দিকে বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী শাহজাহান আলীর সঙ্গে বিরোধ মীমাংসার জন্য জিল্লুর রহমানের বাড়িতে যুবদল নেতা রুহুল আমিনের নেতৃত্বে বৈঠক বসে। ঐ বৈঠক চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে জিল্লুর রহমান, তার স্ত্রী ঝলকি খাতুন, ছেলে মিলন রহমান ও ছোট ভাই মিজানুর রহমানকে পিটিয়ে আহত করেন। এছাড়া তারা হামলা চালিয়ে জিল্লুর রহমানের বাড়িঘর ভাঙচুর করেন।

আহতদের উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা। সেখানে জিল্লুর রহমান, ঝলকি খাতুন, মিলন রহমান ও মিজানুর রহমানের অবস্থার অবনতি হলে তাদের বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১০টার দিকে ঝলকি খাতুন মারা যান। এ সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ যুবদল নেতা রুহুল আমিন রতন ও প্রতিবেশী লিটন মিয়াকে আটক করে।

ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝলকি খাতুন নামে একজন মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল নেতা রুহুল আমিনসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

 

গাজীপুর কথা