ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

যমজ বোনের সঙ্গে যমজ ভাইয়ের বিয়ে, দেখতে কৌতুহলী মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ১৯:৪৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

যমজ বোনের সঙ্গে যমজ ভাইয়ের বিয়ে, দেখতে কৌতুহলী মানুষের ঢল

পাবনার ঈশ্বরদীতে যমজ বোনের সঙ্গে যমজ ভাইয়ের ব্যতিক্রম বিয়ের আয়োজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। একই সময়ে তাদের বিয়ে দেখতে বিয়ে বাড়িতে উৎসুক জনতার ঢল নামে।

শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঈশ্বরদীর শহরের দরিনারিচা এলাকার কনের বাবার বাড়িতে ব্যতিক্রমী এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। কয়েকশ’ অতিথির সম্মুখে প্রত্যেকের সাড়ে তিন লাখ টাকার দেনমোহরে তাদের বিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়।

বররা হলেন- নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর সেকেন্দার আলী মন্ডলের ছেলে সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ। কনেরা হলেন- ঈশ্বরদীর কাপড় ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুস খানের মেয়ে মোছা. সাদিয়া ও মোছা. নাদিয়া। সেলিম ও সুলতান বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত এবং সাদিয়া ও নাদিয়া একটি কলেজের শিক্ষার্থী।

সরেজমিন দেখা যায়, ব্যাপক জমকালোভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যমজ বিয়ের খবর শুনে কৌতুহলী মানুষের ঢল নামে। এর আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হয়।

কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছে ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তারা অনেক খুশি।

কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তার কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ দুই বোনকে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজ-খবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।

বরের বাবা সেকেন্দার আলী জানান, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই তারা খুশির সঙ্গে তা গ্রহণ করেন। প্রথম ছেলের মা শুনেই রাজি হয়ে যান। ছেলেদের জানালে তারাও সম্মতি দেন। এরপরই বর ও কনে উভয়পক্ষ আলোচনা করে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করে।

গাজীপুর কথা