মাত্র ২০ জন লোক। কারো বয়স ২৫ আবার কারো ৬০ বছর। বয়স কম-বেশি হলেও সবাই মিলে অংশ নেন ভোজন প্রতিযোগিতায়। আর এ ২০ জনই খেয়ে ফেলেন ৩৮ কেজি খিচুড়ি আর গরুর মাংস। আনন্দ-উল্লাসে খেলেও প্রতিযোগিতায় হন চ্যাম্পিয়ন।
প্রথমবারের মতো এমনই ভোজন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় বরিশাল নগরীতে। শুক্রবার রাত ১০টায় নগরীর ভাটিখানা শরীফ বাড়িতে এলাকার এ উৎসবে অংশ নেন সর্বস্তরের মানুষ।
প্রতিযোগিতায় ৩৮ কেজি খিচুড়ি খেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ভাতিজা গ্রুপ। আর চাচা গ্রুপ ৩২ কেজি ভোজন করে হয় রানারআপ।
উৎসবমুখর এ ভোজন প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান মিলন, বরিশাল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস. এম জাকির হোসেন, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান ফারুক, ব্যবসায়ী বিষু ঘোষ প্রমুখ।
আয়োজিত ভোজন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রতিযোগীরা বলেন, এটি একটি ভিন্নধর্মী আয়োজন। বরিশালের কোথাও এমন আয়োজন হয় না। এটা শুধু খাওয়াই না আনন্দেরও।
অনুষ্ঠান আয়োজক টুলু শরীফ বলেন, সবাই যখন করোনা নিয়ে চিন্তিত তখন আমরা এলাকার সবাই মিলে এ আয়োজনের পরিকল্পনা করি। সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতেই ব্যতিক্রমী এ আয়োজন।
তিনি বলেন, ভোজন প্রতিযোগিতায় চাচা ও ভাতিজা দুই দলের জন্য দুই মণ খিচুড়ি ও গরুর মাংস রান্না করা হয়। এর মধ্যে এক দল ৪০ কেজি খিচুড়ি খেতে ২০ জন অংশ নেন। যারা বেশি পরিমাণ খেতে পেরেছে তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
গাজীপুর কথা