সংগৃহিত ছবি
কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ফেনী মডেল থানা পরিদর্শন শেষে বলেছেন, থানায় অগ্নিকাণ্ড ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা পুড়ে গেছে।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশের আস্তা বাড়ানোর জন্য সর্বক্ষনিকভাবে সঙ্গে আছেন। পুলিশ বাহিনী কাজে যোগদান করেছেন। আমি মনেকরি খুব দ্রুত সময়ে উনারা আস্তা ফিরে পাবেন। ডিউটিতে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত হতে পারবেন। এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা সুন্দরভাবে সমাধান নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ফেনী মডেল থানা ক্যাম্পাস পরিদর্শন শেষে পুলিশ সদস্যদের নানা পরামর্শ দেন তিনি।
এর পূর্বে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মাৎ শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে ফেনী জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় করেন তিনি।
সভায় অন্যদের মধ্যে ফেনী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, ফেনীতে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাইমীন বিন তাজিম, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনম আবদুর রহিম, সাংবাদিক দিলদার হোসেন স্বপন, যতদন মজুমদার, অ্যাডভোকেট সমীর চন্দ্র কর, হিরালাল চক্রবর্তী, তপন চন্দ্র কর, গণমাধ্যমকর্মীসহ আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
কুমিল্লা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সবার আগে দেশ, প্রথম দেশ, আমাদের দেশের স্বাধীনতা। স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য আমরা দায়বদ্ধ। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে সব সময় প্রস্তুত। এটার উপর যারা আঘাত করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো। সেনাবাহিনী কাজ করছে, জনগণকে সহায়তা করতে হবে, কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। তিনি গুজবে কান না দিয়ে গুজব প্রতিরোধে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, ফেনীতে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় কিংবা বাড়িঘরে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। এ জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে।