সংকোচে জানাই আজ: একবার মুগ্ধ হতে চাই/তাকিয়েছি দূর থেকে। এতদিন প্রকাশ্যে বলিনি। ভূতের মতন চেহারা যেমন, নির্বোধ অতি ঘোর। যা-কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, ‘কেষ্টা বেটাই চোর।’
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি, কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক। মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে কালো মেঘের কালো হরিণ-চোখ। এমননি মনোমুগ্ধকর একের পর এক কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে খুলনা আবৃত্তি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে আবৃত্তি উৎসবের উদ্বোধন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব বরেণ্য শিক্ষাবিদ অসিত বরণ ঘোষ।
খুলনা আবৃত্তি উদযাপন পরিবারের উদ্যোগে বিভাগের ১০ জেলার আবৃত্তি শিল্পীদের সমন্বয়ে দশের উচ্চারণের এ আয়োজন চলে দিনব্যাপী। খুলনা বিভাগের কবি ও আবৃত্তিকাররা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। কবিতা পাঠ, নিবেদিত কবিতা, আবৃত্তি ও সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে মূর্ত করে তোলা হয় প্রতিটি মুহূর্ত। সবার অংশগ্রহণে কবি আর কবিতাপ্রেমীদের মিলন উৎসবে পরিণত হয় মুক্তমঞ্চ চত্বর।
আবৃত্তি উৎসবে সভাপতিত্ব করেন খুলনা আবৃত্তি উদযাপন পরিবারের আহবায়ক কাজল ইসলাম, সঞ্চলনা করেন সদস্য সচিব মো. তরিকুল ইসলাম তারেক।
আবৃত্তি উৎসবে খুলনার চৌধুরী মিনহাজজুজ্জামান সজল, সৈয়দ আব্দুল মতিন, সৈয়দ ওয়ায়েজ করবী ধ্রুব, কামরুল কাজল, নাহিদ নেওয়াজ, কে এম হাসান, সাবিত্রী গাইন, তারেক মন্ডল, মোবিন টিপু, যশোরের জাহেদুল ইসলাম যাদু, কাজী শাহেদ নওয়াজ, নড়াইলের সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নড়াইল, মাগুরার আব্দুস সেলিম, ঝিনাইদহের আরিফা আক্তার মিতা, সাতক্ষীরার দিলরুবা রোজ, চুয়াডাঙ্গার এস এম শাহারুজ্জামান আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
আবৃত্তি উৎসবে অংশ নেওয়া কামরুল কাজল বলেন, কবিতার সঙ্গে মানুষের প্রেমের সম্পর্ক, কবিতার মাঝেই মানুষের আবেগ, ভালোবাসা ও কষ্ট প্রকাশ পায়। যে কবিতা আবৃত্তি করতে জানে সে সুন্দর করে কথা বলতে জানে। ভালোবাসার টানেই কবিতা আবৃত্তি করি, আবৃত্তি কণ্ঠে ধারণ করতে চাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। আবৃত্তি উৎসবের মতো আয়োজন খুলনায় খুব বেশি দরকার।
গাজীপুর কথা