ঢাকা,  শুক্রবার  ২৬ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রতিদিনই ভাঙছে সন্ধ্যা

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১

প্রতিদিনই ভাঙছে সন্ধ্যা

পিরোজপুরের কাউখালীর সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর পারে হঠাৎ করে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়ে পিরোজপুর-স্বরূপকাঠি সড়কের আমরাজুড়ি ও সয়না রঘুনাথপুরের দুই পাড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি বিলীনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে নদীর স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে আগের থেকে কয়েকগুণ বেশি। 

স্থানীয়রা জানান, এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে আমরাজুড়ি সার্কেল অফিস (রাজস্ব), আশোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, বাজারসহ বিভিন্ন স্থাপনা। তাদের দাবি ভাঙন রোধে প্রয়োজন স্থায়ী বেড়িবাঁধ।

 

ছবি ডেইলি বাংলাদেশ

প্রতিদিনই ভাঙছে পিরোজপুর কাউখালীর সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা নদীর দুই পাড়, সেই সঙ্গে ভাঙছে কাউখালী-ঝালকাঠি সড়কের প্রায় ৫ কিলোমিটার। তবে গত ৪দিনে হঠাৎই নদীর স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে আগের থেকে কয়েকগুণ বেশি। এতে উপজেলার সোনাকুর, সয়না, রঘুনাথপুর, হোগলা, বেতকা,  রোঙ্গাকাঠী ও গন্ধর্ব গ্রামসহ প্রায় ২৫টিরও বেশি গ্রাম ভাঙনের মুখে। ভাঙনের তীব্র্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন নদী কুলের হজারো মানুষ। ভাঙনের কারণে গত দুই বছরে আমড়াজুড়ি ফেরিঘাট দুটির জায়গা ২০ দফা স্থানান্তর করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ইশবাল হোসেন জানান, আমরাজুড়ি ইউনিয়নের মূল বাজার এখন সন্ধ্যা নদীর মাঝখানে। এরই মধ্যে আমরাজুড়ি ফেরিঘাট ও বাজারের অতন্ত ২৫টি দোকান এবং কয়েকশ’ ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। তাছাড়াও ফেরিঘাট,বিদ্যালয়,ঘরবাড়ি, মসজিদসহ বেশকিছু স্থাপনা রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত এক মাসে আমরাজুড়ি ফেরিঘাটের সাতটি দোকান নদীতে হারিয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে নদী শাসনের উদ্যোগ না নিলে এই স্থাপনাগুলো রক্ষা অসম্ভব।

 

ছবি ডেইলি বাংলাদেশ

নদী পাড়ের সবজি বিক্রেতা মো. ডমলন শেখ বলেন, ভাঙন রোধে প্রয়োজন স্থায়ী বেড়িবাঁধ। যুগযুগ ধরে সন্ধ্যা ও কালীগঙ্গা ভাঙছে। প্রতিদিন এ জনপদের মাটি, স্থাপনা ও বৃক্ষরাজি এই দুই নদীর করাল গ্রাসে চলে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খালেদা খাতুন রেখা জানান, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে চিঠি দিওয়া হয়েছে। আসা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ছবি ডেইলি বাংলাদেশ

 

আর কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মনু জানান, গত বছর এই শীত মৌসমে নদী ভাঙন শুরু হলে জিও ব্যাগ ও গাছের খুঁটি দিয়ে জরুরি বাঁধ নির্মাণ হলেও এক বছরের মাথায় ভেঙে পড়ে। তাই ভাঙনকুল মানুষের পক্ষে থেকে দাবি ভাঙন প্রতিরোধে নির্মাণ হোক স্থায়ী বাঁধ। 

গাজীপুর কথা