ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

সেই ‘অদম্য’ রুপার পাশে জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ৩০ ডিসেম্বর ২০২১

সেই ‘অদম্য’ রুপার পাশে জেলা প্রশাসক

এক হাতে বই, অন্য হাতে সংসারের দায়িত্ব নেয়া শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক গ্রামের অদম্য রুপা রানী দে ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান। ওই পরিবারকে ঘর ও জমি দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে রুপার পরিবারকে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহয়তা দিয়ে আসে নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের অংশ হিসেবে গৃহহীন-ভূমিহীনরা ঘর ও জমি পাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে অদম্য রুপা রানী দে’র পরিবারকে একটি ঘর দেওয়া হবে। এছাড়া আজ রুপার পরিবারকে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রুপার পাশে আমরা আছি, থাকবো।

 

রুপা রানী দে’র বাড়িতে হাতে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয় নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

রুপা রানী দে’র বাড়িতে হাতে শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয় নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

রুপা রানী দে বলেন, বাবা-মা মারা যাওয়ার পর আমার পরিবারের পাশে কেউ ছিল না। আমার কষ্ট দেখে সাংবাদিকরা এগিয়ে আসেন। আজ জেলা প্রশাসক স্যার আমার পরিবারে পাশে দাঁড়ালেন, সম্মাননাও দিয়েছেন। যা সত্যিই আনন্দের। এতে আমার পড়ালেখা ও আগামীতে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, শীতে ও খাবারে কষ্ট করছিলাম। তা দেখে জেলা প্রশাসক স্যার আবার শীতবস্ত্র ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। ঘর ও জমি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ঋণ শোধ করার মতো নয়।

প্রসঙ্গত, ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারান রুপা রানী দে। এরপর তাদের তিন বোনের দায়িত্ব পড়ে চাচা-ফুফুর ওপর। তাতেও ঘটে বিপত্তি। এক সময় সংসারে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন চাচাও অক্ষম হয়ে যান। সেই থেকে এক হাতে বই, অন্য হাতে সংসারের হাল ধরেন ‘অদম্য’ রুপা। রুপা রানী দে নড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভাব-অনটনের মধ্যেও তিনি এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষায় সুনামের সঙ্গে পাস করেন।

গাজীপুর কথা