ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

জেলের জালে ধরা ১০ মণের শাপলাপাতা মাছ

প্রকাশিত: ১৫:১৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২১

জেলের জালে ধরা ১০ মণের শাপলাপাতা মাছ

পটুয়াখালী আলীপুরে জেলেদের জালে ধরা পেড়েছে ১০ মণ ওজনের বিশাল আকৃতির শাপলাপাতা মাছ। বুধবার দুপুরে এ মাছটি আলীপুরের বাংলাদেশ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র (বিএফডিসি মার্কেটে) বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন জেলেরা। এ সময় মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা।

গদির ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের বাঁশখালীর একটি ট্রলার ঐ মাছটি আলীপুর ঘাটে নিয়ে আসেন। পরে মেসার্স মহেশখালী ফিসের মালিক ইউসুফ হাওলাদার ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৬৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ বলেন, ‘শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে জেলেদের মধ্যে সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির (ডব্লিউসিএস) তথ্য অনুযায়ী, শাপলাপাতা মাছের ১৬টির মতো প্রজাতি আছে। বাংলাদেশে যে ৮ থেকে ১০ প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ পাওয়া যায়, তার মধ্যে ২টি প্রজাতি মহাসংকটাপন্ন ও ৩টি সংকটাপন্ন। পিতাম্বরী বা নাঙলা ও ঘণ্টি শাপলাপাতা মাছকে মহাসংকটাপন্ন ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া পান্ন্যা, শিংচোয়াইন ও ঠোট্ট্যা ঘাপরি শাপলাপাতা মাছকে সংকটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া আছে চিত্রা হাউশ শাপলাপাতা, ছোটলেজি শাপলাপাতা, কালি শাপলাপাতা, ফুল শাপলাপাতা, বাদুড় শাপলাপাতা, বাদা শাপলাপাতা, থাইন ও চুনি প্রজাতি। এর কয়েকটি প্রজাতির বিক্রি নিষিদ্ধ।

বন বিভাগের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনা কার্যালয়ের মৎস্য বিশেষজ্ঞ মো. মফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, শাপলাপাতা মাছের বেশ কয়েকটি প্রজাতি আছে। এই মাছ রক্ষা জরুরি। না দেখে বলা যাবে না এটি শাপলাপাতার কোনো নিষিদ্ধ প্রজাতি কিনা।

গাজীপুর কথা