মো. জহিরুল ইসলাম বিয়ে করেছেন গত শুক্রবার। এখনো শ্বশুড়বাড়ি যাওয়া হয়নি তার। এর আগেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন।
বুধবার সকালে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার গোসিংগা গ্রামে বাড়ির পাশের এক রেইনট্রিগাছ থেকে জহিরুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি জহিরুলকে কেউ হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।
জহিরুল ইসলাম ঐ গ্রামের মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। নিজের পছন্দেই গত শুক্রবার উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামে জহিরুল বিয়ে করেন।
জহিরুলের বড় ভাই মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বিয়ে উপলক্ষে কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসে জহিরুল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জহিরুল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। আজ সকালে স্থানীয় এক ব্যক্তি রেইনট্রিগাছে জহিরুলের লাশ ঝুলতে দেখে তাদেরকে খবর দেন। পরে খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জহিরুলের লাশ উদ্ধার করে।
সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, জহিরুলের এমন মৃত্যুর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। পরিবারের ধারণা, পূর্ববিরোধের জেরে কেউ জহিরুলকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে।
বাউফল থানার ওসি মো. আল মামুন বলেন, মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনের জন্য লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বাউফল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
গাজীপুর কথা