নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪ দিন আগে নিখোঁজ এক গৃহবধূর লাশ বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পরকীয়ার জেরে পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর পশ্চিম পাড়া (খরখরিয়াপাড়া) গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহত লাভলী বেগম দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার মন্মথপুর ইউনিয়নের দাগলাগঞ্জ দলবাড়ীপাড়ার বাবলু মণ্ডলের মেয়ে।
জানা যায়, ১২ বছর আগে লাভলীর বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মণপুর পশ্চিম পাড়া (খরখরিয়াপাড়া) গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে দিনমজুর রেজাউল করিমের সঙ্গে। তাদের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
লাভলী বেগমের মা মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই রেজাউল তেমন কাজ কর্ম করেন না। সংসারটা আমার মেয়েই অনেক কষ্ট করে চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি করিম তার ছোট ভাইয়ের বউ এর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল।
তিনি আরও বলেন, মাঝে মেয়েকে পুরো পরিবার মিলে শারীরিক নির্যাতন করে। এরই মধ্যে গত বুধবার জানতে পারি সোমবার থেকে লাভলী নিখোঁজ। আর আজ তার লাশ পাওয়া গেল বাঁশঝাড়ে। আমার মেয়েকে তারা আগেই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে লাশ বাঁশঝাড়ে রেখে এসেছে। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এলাকাবাসী জানান, ৪ দিন থেকে লাভলী বেগম কে পাওয়া যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় সকালে বাঁশঝাড়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে গিয়ে এক মহিলা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী উপস্থিত হন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ ঘন বাঁশঝাড়ের মধ্যে পড়ে আছে। অনেক কষ্টে বাঁশ কেটে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। জড়িত সন্দেহে স্বামী ও শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। অন্যরা পলাতক রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গাজীপুর কথা