
সংগৃহিত ছবি
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার আলুর দাম বেঁধে দিলেও সেই দামে বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। বরং কোল্ড স্টোরেজে মজুত করে রাখা আলু বেশি দামে বিক্রি করছিলেন। এ অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরের নিপ্পন কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময়ে তিন ব্যবসায়ীর ৬৭৬ মণ আলু সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকা কেজিতে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বেশি দামে বিক্রি করায় ওই তিন ব্যবসায়ীকে এক হাজার ৫০০ করে চার হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার মুক্তারপুরে এই অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় হিমাগারে মজুত করে রাখা ব্যবসায়ী আফসার উদ্দিন, মনির হোসেন ও জাহাঙ্গীর মোল্লার ৬৭৬ মণ আলু চট্টগ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মুন্সীগঞ্জের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, ‘সরকারের বেঁধে দেওয়া আলুর দাম কার্যকর করতে অভিযান চালিয়েছি আমরা। মুক্তারপুরে সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি না করে বেশি দামে বিক্রি করায় তিন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে কোল্ড স্টোরেজে মজুত করে রাখা ওই তিন ব্যবসায়ীর ৬৭৬ মণ আলু ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলু ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছিলেন, ২৭ টাকা দরে মালিকরা আলু বিক্রি না করলে বেচে দেবে সরকার। রবিবার থেকে হিমাগারে রাখা আলু ২৭ টাকা দরে বিক্রি করতে হবে মালিকদের। যদি কোনও আলু ব্যবসায়ী তা বিক্রি না করেন, তাহলে সরকার ২৭ টাকা দরে সেই আলু বিক্রি করে মালিকদের টাকা বুঝিয়ে দেবে।