অবৈধ পথে সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বাংলাদেশি যুবক (২৮) মোনা চন্দ্র রায়। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা শেষে দেশে ফেরার পথে তাকে সীমান্তে আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে তাকে থানা-পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বুধবার নিলে তাকে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ভারতে আটক মোনা চন্দ্র রায় বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলা সদরের অমরখানা ইউপির গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
ভারতের জলপাইগুড়ি সদর গঞ্জের মানিকগঞ্জ সীমান্তে তাকে আটক করা হয়। আটকের পর বিএসএফ ভারতের জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়। গত বুধবার তাকে জলপাইগুড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তোলা হলে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেন।
ভারতীয় পুলিশ বলছে, আটকের পর মোনা চন্দ্র রায়ের কাছ থেকে মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশি টাকা পাওয়া গেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, পঞ্চগড়ের যুবক মোনা চন্দ্র রায়ের সঙ্গে ভারতের মানিকগঞ্জের এক তরুণীর ৫ বছর আগে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মাঝে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অনেক সময় মোবাইলের মাধ্যমে তাদের কথাবার্তা হতো। মালয়েশিয়ায় একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন মোনা। এক সময় সে ছুটি নিয়ে প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে দেখা করতে বাংলাদেশে আসেন।
এরপর ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ঐ যুবক। দিনভর প্রেমিক-প্রেমিকা ঘোরাঘুরি শেষে মোনা দেশে ফিরতে গেলে সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মোনা চন্দ্র রায় বলেন, ভারতীয় এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় দেখা করতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন। প্রায় ২ সপ্তাহ আগে ভারতে প্রবেশ করে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা শেষে বাংলাদেশে ফেরার পথে বিএসএফ তাকে আটক করে।
পঞ্চগড়ের অমরখানা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান নুরু বাংলাদেশি যুবকের ভারতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোলাবাড়ি এলাকাটি সীমান্তের একেবারে কাছে। স্থানীয় ও মালয়েশিয়ায় চাকরি করা ঐ যুবকের পরিবারের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অবৈধভাবে প্রবেশ করায় মোনাকে ভারতে আটক করা হয়েছে। সেখানে আদালত তাকে প্রথমত ৭ দিনের জেল দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মূলত গোলাবাড়ি এলাকাটি সীমান্তের একেবারে কাছে হওয়ায় এবং হয়তো তার যাওয়া-আসার মধ্যে এ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গাজীপুর কথা
