ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মেলায় মেতেছে শিশুরা

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ২৩ জানুয়ারি ২০২২

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, মেলায় মেতেছে শিশুরা

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের স্থায়ী ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬ তম আসরের শেষ মুহূর্তে কেনাকাটার ধুম পড়েছে। 

করোনার সংক্রমণের কারণে সরকারের নির্দেশিত বিধিনিষেধ মেনে চলছে এ মেলা। করোনা বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সুযোগে অভিভাবকরা অবসর সময় ও কেনাকাটা সারাতে শিশুদের নিয়ে ভিড় করছেন বাণিজ্য মেলায়। মেলায় শিশুদের জন্য রাখা বিভিন্ন রাইডে খেলাধুলা করে বেশ আনন্দে সময় পার করছে শিশুরাও।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন  ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মেলার মূল প্রবেশ পথ পেরুলেই রয়েছে শিশুদের জন্য বিনোদন ও খেলাধুলা করার জন্য ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে বিশেষ রাইড ও রং বেরঙের আয়োজন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ বিনোদন পেতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের খেলতে দিচ্ছেন। শিশুরা পাচ্ছে আনন্দ। অপরদিকে মেলায় বিভিন্ন স্টলগুলো ক্রেতা সমাগম বেশ অনেক। শেষ মুহূর্তে কেনাকাটাও বেশ বেড়েছে। তবে ছাড় দেয়া পণ্যের দিকে বেশি ঝুঁকছে ক্রেতারা। বেচা কেনা বেড়ে যাওয়ায় অনেকটা খুশি ব্যবসায়ীরাও।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন  ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

কাঞ্চন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, মেলায় আমাদের মতো ছোটদের জন্য খেলাধুলার আয়োজন খুব ভালো লেগেছে। আমরা অনেক মজা করছি।

ডেমরা বাওয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনিকা আক্তার বলেন, স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাই বাবা মায়ের সঙ্গে বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে আসছি। অনেক মজা করেছি। 

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন  ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

সাভার আশুলিয়া থেকে মেলায় আসা মাজহারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ তবে মেলা চলছে। দেখলাম শিশুদের বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা করেছে। শিশুরা আনন্দ পাচ্ছে ঠিকই। তবে করোনা পরিস্থিতি যেভাবে ভয়াবহ হচ্ছে সেজন্য খুবই চিন্তায় আছি। এখানে স্বাস্থ্য বিধির ব্যাপারে আরো সচেতন হতে হবে।

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন  ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

এসব বিষয়ে মেলার পরিচালক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, মেলায় স্বাস্থ্য বিধি মানাতে পর্যাপ্ত টিম কাজ করছেন। মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে। আর শিশুদের রাইডকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে দর্শনার্থীদের সচেতন হতে হবে। তাদের নিজেদের দায়িত্বশীল হওয়া জরুরি। 

 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন  ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মা, বাবা, ভাইবোন ও আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে মেলায় মেতেছে শিশুরা

তিনি আরো বলেন, এ বছর মেলায় দেশি বিদেশি ২২৫ টি দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যদিও অন্যান্য বছররগুলোর চেয়ে অনেক কম। আশা রাখি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী আসরে দোকানের পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি করা হবে। 

গাজীপুর কথা