জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। শনিবার ভোর ৪টায় পৌর এলাকার বুড়াইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ফরিদা খাতুন। তিনি বুড়াইল গ্রামের মোফাজ্জল মন্ডলের মেয়ে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ফরিদাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী সোহেল রানা পলাতক রয়েছেন। শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত বছর আগে ফরিদা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রতিবেশী আ. গফুরের ছেলে সোহেল রানার। তাদের ছালেহা নামে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। যৌতুক হিসেবে জামাইকে এক খণ্ড জমি ও পাকা বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন ফরিদার বাবা। কিন্তু এতেও স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির প্রত্যাশা মেটেনি। বিভিন্ন অজুহাতে প্রায়ই ফরিদার ওপর চলতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
গত শনিবার ভোর ৪টায় স্বামী ও পরিবারের লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা দেখতে পান গৃহবধূ ফরিদাকে ঘরের ভেতর খাটের ওপর লেপ দিয়ে ঢেকে রেখেছে। তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন গুঞ্জন শুরু হলে গৃহবধূর স্বামী পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা মোফাজ্জল মন্ডল বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি নিরেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
গাজীপুর কথা