রংপুরের পীরগঞ্জে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো-আবদুল্লাহ আল মামুন (২৩) ও ওমর ফারুক টনেট (২৪)। বিষয়টি সোমবার দুপুরে নিশ্চিত করেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে ওই দুজনকে তাদের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পীরগঞ্জের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মামলায় আরও ১৩ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পীরগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী খান সোমবার বিকালে এ আদেশ দেন।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, গ্রেফতার আবদুল্লাহ আল মামুন ও ওমর ফারুক জামায়াত-শিবিরের কর্মী। ঘটনার রাতে তাঁরা পেট্রল নিয়ে মোটরসাইকেলে করে সাদুল্যাপুর থেকে পীরগঞ্জে এসে হামলায় অংশ নেন। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঘটনার বিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এজন্য তাদেরকে আদালতে তোলা হবে।
এদিকে পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি সরেস চন্দ্র বলেছেন, বড় করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা তিনটি মামলা এবং হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনায় আরেকটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া ও সহিংসতার ঘটনা উসকে দেওয়ার অন্যতম হোতা পরিতোষ সরকার, উজ্জ্বল হোসেন, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মন্ডল ও মসজিদের ইমাম রবিউল ইসলামসহ অনেকেই রয়েছেন। তাদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নিজেদের জড়িত থাকার দায় স্বেচ্ছায় স্বীকার করেছেন।
এদিকে, এর আগে পীরগঞ্জ আমলি আদালতের কাছে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিল পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধক শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, নতুন করে ১৩ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর আগে ৩৭ আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটের মামলায় নতুন করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এই তের জনকে ঘটনার পরদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকতে পারে, সে কারণে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, রংপুরের পুলিশ সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে গভীর রাতে মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই তাকে রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাজীপুর কথা