সারাদেশে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এ কার্যক্রম শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এ ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে।
রাজধানীসহ সারাদেশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কয়েক হাজার কেন্দ্রে একযোগে দেওয়া হবে এ টিকা। এবার দেওয়া হবে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি জানান, এ টিকা দেওয়ার জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে চার হাজার ৬০০টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটিতে তিনটি, এক হাজার ৫৪টি পৌরসভায় একটি ও ৪৩৩টি সিটি করপোরেশন এলাকার প্রত্যেকটিতে তিনটি করে টিকাদান কেন্দ্র থাকবে।
ইতোমধ্যে যারা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২৮ সেপ্টেম্বর টিকা দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এছাড়া ২৫ বছরের বেশি বয়সীরা জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে নিয়ে গেলে টিকা দিতে পারবেন।
তিনি জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর টিকা প্রদানে দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হবে। এর আওতায় বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে যারা দূরে থাকেন, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা সব সময় টিকা নিতে আসতে পারেন না এবং বয়স্ক, তাদের টিকার আওতায় আনার উদ্দেশ্যে এ ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।
এছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দুই ঘণ্টা ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বর্তমানে প্রতিদিন ছয় লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এর আগে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একদিনে ৪৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এবার ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এ ক্যাম্পেইনে সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে। আগামী মাসে দেওয়া হবে দ্বিতীয় ডোজের টিকা।
তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের কাছে টিকা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এর আগে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে একদিনে ৪৫ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছিল বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গাজীপুর কথা
