সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে দুই সন্তানসহ এক দম্পতিকে হত্যার দায়ে রায়হানুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মৃত্যুদণ্ডের এ ঘোষণা দেন। একই আদেশে আসামিকে ৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিরা হলেন রায়হানুল ইসলামের ভাই শাহিনুর এবং তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ভাতিজা সিয়াম হোসেন মাহী ও ভাতিজি তাসনিম সুলতানা। তাদের চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে জবাই করে হত্যা করেন রায়হানুল। তারা সকলেই কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিষা গ্রামের বাসিন্দা। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিলেন রায়হানুল।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শাহিনুরের শাশুড়ি ময়না বেগম অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে রায়হানুল ইসলাম, একই গ্রামের রাজ্জাক দালাল, আব্দুল মালেক ও ধানঘরা গ্রামের আসাদুল সরদারের সম্পৃক্ততা পায়। তাদের গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হলে রায়হানুল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। রাজ্জাক, মালেক ও আসাদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
জানা গেছে, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম গত ১৪ জানুয়ারি রায়হানুলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় একজন সাফাই স্বাক্ষীসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ মঙ্গলবার মামলার রায় দেন আদালত। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা বলেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এস এম হায়দার এবং ফরহাদ হোসেন।
গাজীপুর কথা