বর্তমানে দেশে সরকারি খাদ্যগুদামে মোট খাদ্যশস্য মজুতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিক টন। বুধবার (২৮ জুলাই) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে সিএসডি (সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো) ও এলএসডি (লোকাল সাপ্লাই ডিপো) গোডাউনে বর্তমান ধারণ ক্ষমতা ২১ লাখ মেট্রিক টন। চলমান অভ্যন্তরীণ বোরো সংগ্রহ অভিযানে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ লাখ ৪০ হাজার টন চাল, ৩ লাখ ১৫ হাজার টন ধান এবং এক লাখ ৩ হাজার টন গম সংগৃহীত হয়েছে। গত কয়েক মাসে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে প্রায় ৯ লাখ টন চাল ও গম। আরও ৫ লাখ টনের বেশি চাল বিদেশ থেকে আসার অপেক্ষায় রয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ১৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে বোরো সংগ্রহ অভিযান। এই সময়ের মধ্যে আরও ৭ লাখ টন খাদ্যশস্য অভ্যন্তরীণভাবে সংগ্রহের আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি খাদ্যগুদামে মোট মজুতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিক টন। আগস্ট শেষে এ মজুতের পরিমাণ আরও বাড়বে। ফলে সরকারি গোডাউনে খাদ্যশস্য মজুতের স্থান সংকুলান নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
দেশে সরকারি খাদ্যশস্য মজুতে রেকর্ড করতে যাচ্ছে জানিয়ে এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় খাদ্যশস্য মজুতের এ রেকর্ড হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। একজন মানুষও যেন খাবারের কষ্ট না পায় সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। কৃষক যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় সব সময় সচেষ্ট ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্য মজুত সক্ষমতা বাড়াতে ৩টি সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। ৫০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার একটি সাইলোর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে এবং চারটির টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ৩০টি পেডি সাইলোর অনুমোদন পাওয়া গেছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে ১৭০টি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। এগুলো নির্মিত হলে খাদ্যশস্য মজুদ নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না।’
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘এই মৌসুমে সরকারি সংগ্রহ মূল্য বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় সংগ্রহ অভিযান সফল হওয়ার পথে। কৃষকও এবার ফসলের ন্যায্যমূল্য পেয়ে খুশি।’
গাজীপুর কথা