ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

নওগাঁয় ডিস ব্যবসায়ী উজ্জল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ২৮ জুলাই ২০২১

নওগাঁয় ডিস ব্যবসায়ী উজ্জল হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন

নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানিপুর গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী উজ্জল হোসেন (২৭) হত্যাকাণ্ডের রহস্য ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদঘাটন করেছে পুলিশ। ঋণের মাত্র ২০ হাজার টাকা পরিশোধ না করার জন্যই তিন বন্ধু মিলে ডিস ব্যবসায়ী উজ্জলকে গলা ও পায়ের রগ কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে। 

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোঃ আবদুল মান্নান মিয়া। এর আগে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সুজন (২৮) ও শরিফ (২৫) নামে দুজন হত্যার দায়ভার স্বীকার করে মঙ্গলবার সকালে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। 

পুলিশ সুপার বলেন, নিহত উজ্জল হোসেন একজন ডিস সংযোগ ব্যবসায়ী ছিলেন। মাঝে মধ্যে মাদক সেবনেরও অভ্যাস ছিল তার। বেশ কিছুদিন আগে একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়া, সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ শরিফ ও মোঃ রায়হানের সাথে উজ্জলের বন্ধুত্ব হয়। এই বন্ধুত্বের সুবাদে সুজন ও শরীফ উজ্জলের নিকট থেকে সুদের উপর ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে।

দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সুজন ও শরীফ ঋণের টাকা পরিশোধ না করার নানা তালবাহানা করে আসছিল। সম্প্রতি উজ্জল টাকা পরিশোধের চাপ দিলে ওই তিন বন্ধু ঈদের পরদিন দুপুরে স্থানীয় বাজারে একত্রিত হয়ে উজ্জল হোসেনকে খুনের পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মাদক সেবন ও ঋণের টাকা পরিশোধের প্রলোভন দেখিয়ে ২৪ জুলাই রাতে বিল ভবানীপুর গ্রামের নির্জন এলাকায় উজ্জলকে নিয়ে যায় তারা।

সেখানে টাকা লেনদেনের কথাবার্তার এক পর্যায়ে সুজন কৌশলে উঠে গিয়ে পিছন থেকে উজ্জলের গলায় ধারালো ছুরি চালায়। সে চিৎকার শুরু করলে অন্য দুজন তার হাত-পা চেপে ধরে গলা কেটে ফেলে। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য শরিফের কাছে থাকা আরেক চাকু দিয়ে দু’পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। এরপর একটি পাটক্ষেতে উজ্জলের মৃতদেহ ফেলে আসে খুনিরা।

এই ঘটনায় উজ্জলের মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই সূত্র ধরে সুজন ও শরিফকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পলাতক রয়েছে হত্যাকাণ্ডের অপর সহযোগী রায়হান। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

হত্যাকাণ্ডে তিনজন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী।

উল্লেখ্য, নওগাঁ সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন গত ২৪ জুলাই সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল।পরের দিন ২৫ জুলাই গ্রামের পাশের বিলের নিকট একটি পাটক্ষেত থেকে তার গলা ও পায়ের রগকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গাজীপুর কথা