ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পুলিশ দেখলেই মাস্ক পরেন রাঙামাটির পর্যটকরা

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

পুলিশ দেখলেই মাস্ক পরেন রাঙামাটির পর্যটকরা

করোনা সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে চলায় ঢাকার সঙ্গে এখন রেড জোন পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। রাঙামাটিকে রেড জোন ঘোষণার পর সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রশাসন আরো কঠোর হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো খোলা রাখা হলেও অর্ধেক পর্যটক প্রবেশ এবং স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু নির্দেশনা পালনে আগ্রহ নেই পর্যটকদের।

পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা। ট্যুরিস্ট পুলিশের তদারকি দেখলেই একেকজনের মুখে মাস ওঠে।

রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতুতে দেখা গেছে, পর্যটকরা স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ হ্রদে নৌ বিহারও করছেন। কারো কারো মুখে মাস্ক থাকলেও বেশিরভাগ পর্যটকের মুখে মাস্ক ছিল না। দূরত্ব মেনে চলার নির্দেশনা থাকলেও সেটা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও বেশিরভাগ পর্যটকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।

এদিকে মুখে মাস্ক না পরার ব্যাপারে পর্যটকরা নানান ব্যাখা দিচ্ছেন। কারো মনে নেই মাস্ক আনতে। আবার কেউ মাস্ক গাড়িতে রেখে এসেছেন। কেউ কেউ বলছেন ছবি তোলার সময় মাস্ক খুলে রেখেছেন।

কুমিল্লা থেকে আসা সোহেল রানা বলেন, এখানে প্রকৃতি খুবই সুন্দর- তবে বেশিরভাগ পর্যটক অসচেতনভাবে ঘোরাফেরা করছে তাতে আমিও ঝুঁকিতে পড়ছি। এ ব্যাপারে নিজ তাগিদে সচেতন হলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে।

ঢাকার উত্তরা থেকে আসা মো. জাবেদ খান বলেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন থাকলে পর্যটকরা আরো সচেতন থাকতো। বেড়াতে এসে নিজেকে ঝুঁকিতে ফেলছি।

রাঙামাটি পর্যটক বোটঘাট ইজারাদার রমজান আলী বলেন, রেড জোন ঘোষণার প্রভাব পড়েছে। বিগত বন্ধের দিনে যে পরিমাণ পর্যটক আসে সেই তুলনায় কিছুটা কম। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই হ্রদ ভ্রমণের জন্য বোট ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের এসআই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, যতক্ষণ আমরা পর্যটকদের সামনে থাকি- ততক্ষণ তারা মুখে মাস্ক পরে। সরে গেলে তারা আবার খুলে ফেলে। নিজেরা সচেতন না হলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করানো কঠিন হয়ে যাবে।

রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, রেড জোন ঘোষণার পর অনেক বুকিং বাতিল হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যাও কমে এসেছে। এরই মধ্যে আমাদের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মাস্ক ছাড়া ঝুলন্ত সেতুতে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। তবে প্রবেশের পর অনেকেই মাস্ক খুলে ফেলছেন। লোকবল সংকটের কারণে পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে হোটেলে সরকারি বিধি অনুসরণ করে রুম ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয় অর্থনীতির বিষয়টি বিবেচনা করে পর্যটন স্পটগুলো এখনই বন্ধ ঘোষণা হয়নি। তবে পর্যটনকেন্দ্রে ধারণক্ষমতার অর্ধেক প্রবেশের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম মাঠে কাজ করছে।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন