ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

৫০ তরুণ-তরুণীর অশ্লীল ছবি তুলে কোটিপতি তারা

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ২৩ আগস্ট ২০২২

৫০ তরুণ-তরুণীর অশ্লীল ছবি তুলে কোটিপতি তারা

পর্নোগ্রাফি ও চাঁদাবাজ চক্রের গ্রেফতার ৭ জন

ফেসবুকে টার্গেট করে গড়ে তোলে সম্পর্ক। দেখা করার নামে বাসায় ডেকে সহযোগীদের নিয়ে ভুক্তভোগীদের জোরপূর্বক আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করে চক্রটি। এভাবে দুই বছরে প্রায় ৫০ এরও বেশি তরুণ-তরুণীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা।

মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং দক্ষিণখান এলাকা থেকে ব্ল্যাকমেইলিং ও পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে চাঁদাবাজি চক্রের মূলহোতা ও দুই নারীসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১।

গ্রেফতারকৃতরা  হলেন- চক্রের মূলহোতা মো. আল মাহমুদ মামুন এবং তার সহযোগী  মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া, মো. আকরাম হোসেন  আকিব, তানিয়া আক্তার, মো. রুবেল, মো. মহসীন ও মো. ইমরান।

দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি জানান, সম্প্রতি এক ভুক্তভোগী রাজধানীর উত্তরা র‌্যাব-১ অফিসে অভিযোগ করে, গত ২২ জুলাই ফেসবুকের মাধ্যমে মাস্তুরা আক্তার প্রিয়ার সঙ্গে ভুক্তভোগীর যোগাযোগ হয়। ১০ আগস্ট দুপুরে তাদের দেখা হয়। পরে কৌশলে তাকে রাজধানীর অভিজাত আবাসিক এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যায় প্রিয়া। রুমের ভেতরে প্রবেশ করার পর পরিকল্পিতভাবে প্রিয়া ও তার সহযোগী মো. আল মাহমুদ মামুন, মো. আকরাম হোসেন আকিব, তানিয়া আক্তার, মো. রুবেল, মো. মহসীন ও মো. ইমরান জোরপূর্বক ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে।

ভিকটিমকে আটক রেখে ধারণকৃত অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে ভিকটিমের বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করে। লোকলজ্জার ভয়ে ভিকটিম ঘটনাটি কোথাও অভিযোগ না করলেও ১ সপ্তাহ পরে অভিযুক্ত মামুন আরো ২ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

পরে ভিকটিম নিরুপায় হয়ে র‌্যাব-১ এর কাছে লিখিত অভিযোগ করে আইনি সহায়তা চান। পরে এর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাব-১ নজরদারি শুরু করে এবং তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে অশ্লীল ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ও ২টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রের মূলহোতা মো. আল মাহমুদ মামুন এবং তার নারী সহযোগী তানিয়া আক্তার ও মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া। এই দুই নারী সদস্যের ছবি ও ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে মামুন বিভিন্ন ব্যক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক ফ্ল্যাট বা হোটেলে আমন্ত্রণ জানাত। ভিকটিমরা সেখানে গেলে অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভিকটিমদের জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করত।

আরো পড়ুন