ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ১৮ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ৭ জুন ২০২২

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাজধানীর জুরাইন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা ও পুলিশ সদস্যদের মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুর থানায় আহত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. আলী হোসেন বাদী হয়ে আটক তিনজনসহ অজ্ঞাত সাড়ে চারশ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা আসামিরা হলেন- মোটরসাইকেলচালক বার্তা বিচিত্রা নামক পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া সোহাগ-উল ইসলাম রনি, তার স্ত্রী ইয়াসিন জাহান নিশান ভুইয়া ও শ্যালক ইয়াসির আরাফাত ভুইয়া।

শ্যামপুর থানার ওসি মফিজুল আলম বলেন, জুরাইন রেলগেট এলাকায় রাস্তার উল্টো দিক দিয়ে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে আটকে কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় ট্রাফিক সার্জেন্টকে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধারে আসা আরও দুই পুলিশ সদস্যকেও মারধর করা হয়।

আহত সার্জেন্ট আলী হোসেনের হাতে ২১টি সেলাই দিতে হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন- ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও শ্যামপুর থানার উপ-পরিদর্শক উৎপল চন্দ্র।

মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে জুরাইন রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।

পুলিশের ওপর হামলা, কর্তব্য কাজে বাধা ও সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুরের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলা নং ১১। আগামীকাল বুধবার আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিশান নামে এক নারী ও তার স্বামী রনি মোটরসাইকেলযোগে জুরাইন রেলগেটের রাস্তার উল্টো পথে যাচ্ছিল। এ সময় কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলী হোসেন ও ট্রাফিক কনস্টেবল সিরাজ তাদের গতিরোধ করেন। 

এ সময় নিশান নিজেকে অ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে রনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে সার্জেন্ট আলী হোসেনকে ধাক্কা দেন। এ সময় অ্যাডভোকেট নিশান ডাকচিৎকার করতে থাকেন। এরপর লোকজন উপস্থিত হয়ে সার্জেন্ট আলী হোসেনের ওপর হামলা করে তাকে ছুরিকাঘাত করে। 

শ্যামপুর থানা পুলিশের এসআই উৎপলসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনা শান্ত করতে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে এবং ট্রাফিক বক্সে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভাঙচুর চালায়। পরে শ্যামপুর ও কদমতলী থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহত পুলিশ সার্জেন্ট আলী হোসেনসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক রনিকে আটক করেছে শ্যামপুর থানা পুলিশ।

ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার জানান, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। 

    আরো পড়ুন