জামিনে মুক্ত হলেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। তবে আরও সপ্তাহখানেক থাকবেন হাসপাতালে। এর আগে পাসপোর্ট জমা রাখা, বিদেশে না যাওয়াসহ তিন শর্তে জামিন পান সম্রাট। যদিও এ জামিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল করবে কি না এ বিষয়ে কিছুই জানাননি সংস্থাটির আইনজীবী।
৩২ মাস কারাগারে থাকার পর বুধবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে চারটায় কারামুক্ত হন সম্রাট।
গ্রেফতারের পর কিছুদিন জেলে থাকলেও অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সম্রাট। জামিনে মুক্তির আদেশও আসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে।
এরই মধ্যে মুক্তির খবরে হাসপাতালে ভিড় করেছেন তার সমর্থকরা। সম্রাটের সঙ্গে দেখা করে বের হয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, মুক্তি পেলেও আরও ৫ থেকে ৭ দিন হাসপাতালেই থাকবেন সম্রাট।
শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এর আগেই অস্ত্র, মাদক এবং অর্থপাচার মামলায় জামিন পান সম্রাট। মুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় দুদকের এক মামলা। এই মামলাতেও একবার জামিন চেয়ে ব্যর্থ হন তিনি। আবারও করা হয় জামিন আবেদন। বুধবার সকালে শেষ মামলাতেও জামিন মিলে তার। তবে শর্ত দেয়া হয়েছে তিনটি।
যে তিন শর্তে সম্রাট জামিন পান তা হলো- অসুস্থতা বিবেচনায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে না যাওয়ার শর্তে এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে হাজিরা দিতে হবে।
আগামী ৯ জুন ধার্য করা হয়েছে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন।
ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার হন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। পরে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচারসহ ৪টি মামলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী। এর মধ্যে দুদকের মামলায় ২১৯ কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।
গাজীপুর কথা