ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

কারখানা মালিকের গরু বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন দিলো প্রশাসন

প্রকাশিত: ১৩:১১, ২ মে ২০২২

কারখানা মালিকের গরু বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন দিলো প্রশাসন

গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া এলাকায় মালিকের গরু বিক্রি করে জিম অ্যান্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছে প্রশাসন।

শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ না করে আত্মগোপনে চলে যান মালিক। এরপর রোববার (১ মে) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে কারখানা মালিকের খামারের গরু বিক্রি করে শ্রমিকদের আংশিক বেতন পরিশোধ করা হয়। এতে সহযোগিতা করে বিকেএমইএ।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানান, জিম অ্যান্ড জেসি কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা এপ্রিলের বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে শনিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে কারখানায় অবস্থান ধর্মঘট করছিলেন। বেতন-বোনাস না পাওয়ায় শ্রমিকরা ওইদিন রাতে কারখানার ভেতরেই রাতযাপন করেন। পানি-বিস্কুট খেয়ে সেহেরি ও ইফতার করেন।

তিনি আরও জানান, এ পরিস্থিতিতে প্রশাসন থেকে কারখানার মালিক পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। রোববার শ্রমিকদের বোনাস দিতে ১০ লাখ টাকা কারখানার মালিককে ধার হিসেবে দেয় বিকেএমইএ। এছাড়া শ্রমিকদের উপস্থিতিতে কারখানার কাছে অবস্থিত কারখানার মালিকের গরুর খামারের ৯টি গরু বিক্রি করে পাওয়া যায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মালিকের নিজস্ব ৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ২২ লাখ ৩৯ হাজার টাকার ব্যবস্থা করা হয়। পরে কারখানার ৫৪৪ জন শ্রমিকদের প্রত্যেককে থোক বরাদ্দ হিসেবে ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। এছাড়া ঠিকাদার শ্রমিকদের বোনাসের জন্য তিনজন ঠিকাদারকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

এনডিসি ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরী জানান, একজন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকায় তাকে টাকা দেওয়া সম্ভব হয়নি। তার টাকা কারখানার অ্যাকাউন্টস অফিসারের কাছে জমা রাখা হয়েছে।

কারখানার শ্রমিক স্বপ্না ও রুপালী জানান, তারা কারখানাটিতে সাড়ে চার বছর ধরে চাকরি করছেন। শনিবার লাঞ্চের পর এপ্রিলের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। তারা বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কারখানায় যোগ দেন। দুপুরের পর শ্রমিকরা যখন বেতন-বোনাসের জন্য অপক্ষো করতে থাকেন তখন তারা জানতে পারেন তাদের পাওনা দেওয়ার মতো কারখানার কেউ নেই। অথচ সকালে তারা সবাই কারখানায় ছিলেন।

জানতে চাইলে কারখানার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, কারখানায় অর্থ সংকটের কারণে সাবলেটে কাজ করিয়ে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার ঈদের আগে ব্যাংকিং সমস্যার কারণে টাকা তুলতে না পারায় কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতে পারেনি। পরে প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা আংশিক বেতন নিয়ে কারখানা ত্যাগ করে বাড়ি ফিরে যান।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন