ঢাকা,  বুধবার  ২৪ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হেমায়েত হোসেন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৪ নভেম্বর ২০২১

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে হেমায়েত হোসেন

গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (জিডিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ-২) মো.হেমায়েত হোসেন। 
চেয়ারম্যান পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতাসহ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
অতিরিক্ত সচিব হেমায়েত হোসেন এর আগে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর ”গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন ২০২০”এর গেজেট প্রকাশ হয়।

উল্লেখ্য, গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে একটি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ২০২০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিল-২০২০’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছিল।
 
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

বিলটি জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানোর জন্য বিরোধীদলীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য প্রস্তাব দিলেও সরকারিদলের সদস্যদের কণ্ঠভোটে সেই প্রস্তাব নাকচ হয়। পরে স্পিকার বিলটি পাসের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা পাস হয়।

এর আগে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী। তখন বিলটি অধিকতর যাচাই-বাছাই করার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটি ৬ আগস্ট বিলটি চূড়ান্ত করে পাসের জন্য সংসদে পাঠায়।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজীপুর শহর ও তৎসলগ্ন এলাকায় পরিকল্পনা, উন্নয়ন, সংস্কার ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে পরিকল্পিত নগরায়নের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৪-এর কার্যবিবরণীতে পরিকল্পিত নগরায়ন এবং জনসাধারণকে নাগরিক সুবিধা দেওয়ার জন্য গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (জিডিএ) গঠন করা হবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’-এর খসড়া প্রণীত হয়। খসড়া বিলটি ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। বিলটিতে সরকারি টাকা ব্যয়ের প্রশ্ন জড়িত থাকায় সংবিধানের ৮২ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির সুপারিশ নেওয়া হয়েছে।

বিলে আরও বলা হয়, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষ পরিচালনার জন্য একজন চেয়ারম্যান, চারজন সার্বক্ষণিক সদস্যসহ ১৫ সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। কর্তৃপক্ষের সচিব কমিটির সচিব হবেন। সদস্যরা তিন বছরের জন্য মনোনীত হবেন।

বিলের ৪০ ধারায় মহাপরিকল্পনার পরিপন্থী ভূমি ব্যবহারের দণ্ড সম্পর্কে বলা আছে- যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লেখিত উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করেন, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিকে অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

ইমারত নির্মাণ, জলধারা খনন, চালা অথবা উঁচু ভূমি ইত্যাদি বিষয়ে বিধি নিষেধ সম্পর্কে ৪১ ধারার (১) উপধারায় বলা আছে- অন্য কোনো যাই থাকুক না কেন এই আইন কার্যকর হবার পর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার মধ্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কোনো ইমারত নির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলধারা খনন বা পুনঃখনন কিংবা চালা বা উঁচু ভূমি কাটা যাবে না।

বিলে বলা হয়, ‘গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হবে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রধান কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্তৃপক্ষ আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করবেন। কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ ও আধুনিক পর্যটন ও নগর উন্নয়ন কার্যাবলী গ্রহণ করবেন। কৃষিভূমি, বনভূমি, নিম্নভূমি, জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ইমারত নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, পুকুর বা কৃত্রিম জলাধার খনন, পুনঃখনন বা উচুঁ ভূমি কাটা যাবে না।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন