ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বাগেরহাটে অসময়ে তরমুজের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৩ আগস্ট ২০২২

বাগেরহাটে অসময়ে তরমুজের বাম্পার ফলন

তরমুজের বাম্পার ফলন

উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের লবণাক্ত এলাকায় অসময়ে তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। অল্প খরচে কম সময়ে ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন এ তরমুজের চাহিদা বাড়ছে। দূর থেকে দেখলে লাউ বা কুমড়া ঝুলছে মনে হলেও কাছে গেলে বোঝা যায় সারি সারি হলুদ ও সবুজ তরমুজের সমারোহ। রসালো ও সুস্বাদু ঝুলন্ত তরমুজ রাখা হয়েছে পরম যত্নে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার নোনাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য ও সবজি চাষি জাহিদুল ইসলামের ঘেরের পাড়ে দেখা যায় এমনই চিত্র।

তরমুজ চাষি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি বিভাগের প্রদর্শনী খামার হিসেবে আমাকে মনোনীত করে এবং তরমুজ চাষের জন্য ৫ হাজার টাকা অনুদান দেয়। আমি তখন ঘেরের পাড়ে জৈব সার প্রয়োগ করে ৬০০ চারা রোপণ করি। তিন মাসের মাথায় ফল আসতে শুরু করে। তরমুজের জাতের মধ্যে রয়েছে তৃপ্তি ও বাংলালিংক। আকারে ছোট হলেও ভালো ফলন ও সুস্বাদু হওয়ায় বেশ বিক্রি হচ্ছে। সাত হাজার টাকা খরচ করে ইতোমধ্যে ৩৩ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেই গাছ থেকে কেটে বাজারে নিয়ে বিক্রি করি। রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করায় এ তরমুজ নিরাপদ।’

এখনও প্রায় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

বাগেরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদিয়া সুলতানা বলেন, “৭ হেক্টর জমিতে এ প্রদর্শনী খামার তৈরি করা হয়েছে। আমরা ওই চাষিকে ‘ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন’ প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাটে প্রণোদনা দেয়ার মাধ্যমে এ চাষ শুরু করা হয়েছে। অনাবৃষ্টি ও লবণাক্ততার কারণে ফলন কিছুটা কম হলেও ভবিষ্যতে ভালো তরমুজ উৎপাদনের বিষয়ে আশাবাদী।”

অফ সিজনে তরমুজের ভালো ফলনের ফলে অন্য ফসলের চেয়ে কৃষকরা দামও বেশি পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

আরো পড়ুন