ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

প্রথমবারেই অম্লমাটিতে পেঁয়াজ চাষে সফলতা

প্রকাশিত: ১৭:০৩, ২৪ এপ্রিল ২০২২

প্রথমবারেই অম্লমাটিতে পেঁয়াজ চাষে সফলতা

মৌলভীবাজারে অম্লমাটিতে জৈবসার ব্যবহার করে প্রথমবারের মতো কৃষি বিভাগ পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে। এতে এ বছর জেলায় পেঁয়াজের ভালো ফলন পাওয়া গেছে। তবে বাজারে উৎপাদিত এ পণ্যের সঠিক দাম না পেয়ে হতাশ চাষিরা।

গত কয়েক বছর পরীক্ষামূলক পেঁয়াজ চাষাবাদে তেমন একটা সফলতা দেখাতে পারেনি মৌলভীবাজার কৃষি বিভাগ। এ অঞ্চলের অম্লমাটি পেঁয়াজ চাষে সম্পূর্ণভাবে ছিল অনুপযোগী। নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করে কোথাও পেঁয়াজের ফলন আসছিল না। তবে এ বছর এ জেলার অম্লমাটিতে প্রথমবারের মতো জৈবসার ব্যবহার করে পেঁয়াজের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনে সফলতা দেখিয়েছে কৃষি বিভাগ।

প্রায় ২০০ চাষি বিনামূল্যে তাহেরপুরী জাতের বীজ, প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণ নিয়ে মৌসুমের শুরুতেই পেঁয়াজ চাষ করেন। কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে চাষের পর ফুল ও ফলে চাষিদের জমি ভরে উঠেছে। হেক্টরপ্রতি ১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদিত ফসল ঘরে উঠাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

সদর উপজেলার গিয়াস নগর গ্রামের চাষি হাবিবুর রহমান জানান, তার ৩০ শতক জমিতে প্রতিবছর অন্যান্য ফসল চাষের পর এ সময়টা পতিত পড়ে থাকে। তাই এবার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় পেঁয়াজ চাষ করে ভালো ফলন পান তিনি।  এ কৃষক আরও জানান, তাহেরপুরী জাতের এ পেঁয়াজ অনেক দিন ঘরে রাখা যায়। এতে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা কম।

একইভাবে আপারকাগাবলা গ্রামের কৃষক সোহেল জানান, বড় হাওড়ে তার পরিত্যক্ত প্রায় ৩৫ শতক জমিতে পরীক্ষামূলক পেঁয়াজ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন তিনি। ১০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৩০ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা লাভবান হয়েছেন তিনি।

তবে বাজারে উৎপাদিত এ পেঁয়াজের দাম কম থাকায় অনেকেই হতাশ। মৌলভীবাজার সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কান্তি দত্ত জানান, তাহেরপুরী এ জাতের পেঁয়াজ সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়।

কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, এ চাষের চর্চা অব্যাহত থাকলে আগামী বছরগুলোতে জেলায় উচ্চ মূল্যের এ পণ্যের ব্যাপক ফলন আসবে। জেলা কৃষি অধিদফতরের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ৮০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষাবাদ হলেও উৎপাদন হয়েছে ৮০০ মেট্রিক টন।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন