ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ইউরিয়া সারের কোটিং কারখানা হচ্ছে দেশে

প্রকাশিত: ০৭:০৯, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

ইউরিয়া সারের কোটিং কারখানা হচ্ছে দেশে

সাধারণ ইউরিয়া সারের কার্যকারিতা বাড়াতে দানার ওপর এক ধরনের প্রলেপ বা কোটিং করা হয়। এ ধরনের কোটেড ইউরিয়া উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে। দেশে এ ধরনের সারের চাহিদা বছরে ২৪ হাজার টন। তবে এর পুরোটাই আমদানি করতে হয়। এতে অনেক সময় বাড়তি খরচ গুনতে হয়। আবার সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছানোও যায় না। তাই এবার দেশেই ইউরিয়া সারের একটি কোটিং কারখানা করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)।

কারখানাটি হবে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়। বছরে উৎপাদন হবে ২৯ হাজার টন কোটেড ইউরিয়া সার। অর্থাৎ চাহিদার পুরোটাই যোগান দেওয়া যাবে এখান থেকে। প্রথমবারের মতো দেশে এ ধরনের কারখানা তৈরির কাজ শেষ হলে আগামী দুই বছরের মাথায় কৃষকের হাতে এই সার পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ-সংক্রান্ত একটি প্রকল্প তোলা হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশন 'ইউরিয়া ফরমালডিহাইড-৮৫ (ইউএফ-৮৫) প্ল্যান্ট স্থাপন' শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে। এই প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) 'বরাদ্দবিহীন অননুমোদিত' হিসেবে রয়েছে।

কমিশন বলেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইউরিয়া সারের কোটিং ম্যাটেরিয়াল ইউএফ-৮৫ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে আমদানিনির্ভরতা কমানোর মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় হবে। নতুন কারখানায় কোটেড ইউরিয়া উৎপাদনে উপজাত হিসেবে মিথানল ও ফরমালডিহাইড জাতীয় মধ্যবর্তী রাসায়নিক উৎপাদন হবে। দেশে মিথানলের চাহিদার একটা বড় অংশও এর মাধ্যমে জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগ প্রকল্পটি যাচাই-বাছাই করেছে। জানতে চাইলে এই বিভাগের সদস্য শরীফা খান সমকালকে বলেন, বিসিআইসির অন্যান্য সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া তরল আকারে এনে ফেঞ্চুগঞ্জের নতুন কারখানায় কোটেড করা হবে। এতে কৃষি উৎপাদন বাড়বে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সহায়ক হবে। তিনি বলেন, কোটেড ইউরিয়ার পাশাপাশি উপজাত হিসেবে মিথানল ও ফরমালডিহাইড উৎপাদিত হবে। শিল্প উৎপাদনে এসব রাসায়নিকের চাহিদা রয়েছে, যা এখনও আমদানি করতে হয়।

এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭২৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫৯৩ কোটি টাকাই অর্থায়ন করা হবে বিদেশি ঋণের মাধ্যমে। বাকি ১৩২ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। আগামী ২০২৩ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন