ঢাকা,  বৃহস্পতিবার  ২৫ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগির খামারে লাখের বেশি বাচ্চা উৎপাদন

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২০ জানুয়ারি ২০২২

রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগির খামারে লাখের বেশি বাচ্চা উৎপাদন

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে বাচ্চা উৎপাদন বেড়েছে। গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০৭টি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করেছে খামারটি, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ হাজার বেশি।

এছাড়া ডিম উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৬০টি, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ হাজার ৪১টি বেশি।

খামার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮০ হাজার কম।

রংপুর জেলা পোলট্রি খামার মালিক সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন জানান, সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে উৎপাদিত মুরগির বাচ্চা ও ডিমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চাহিদার সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার সামঞ্জস্য রাখতে ৬৫ বছরের পুরোনো খামারটির আধুনিকায়ন জরুরি। এতে শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানও বাড়বে।

খামার সূত্র জানায়, বর্তমানে মুরগি রাখার ১৯টি শেডের মধ্যে ১৩টি ব্যবহার করা হচ্ছে। বাকিগুলোর আধুনিকায়ন চলছে। শিগগিরই এগুলো ব্যবহারের উপযোগী হবে।

রংপুর সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের সহকারী পরিচালক ডা. নাজমুল হুদা জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন কমেছে। তবে লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় উৎপাদন ও চাহিদা পূরণে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৬০ শতাংশ বাচ্চা এবং ৫০ শতাংশ ডিম উৎপাদন হয়েছে।

তিনি আরো জানান, খামারটির বর্তমান অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই খামারটির আধুনিকায়নের কাজ শুরু হবে।

রংপুর নগরীর কলেজ রোডে ১০ একর জমির উপর ১৯৫৭ সালে স্থাপন করা হয় সরকারি হাঁস-মুরগির খামার। প্রথমে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে খামারটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশীয় মুরগি পালনে উদ্বুদ্ধ করা ও গ্রামীণ মুরগি পালন অব্যাহত রাখার কাজ করছে খামারটি।

সরকারি হাঁস-মুরগি খামারে ফাওমি জাতের লেয়ার এবং আরআইআর জাতের মোরগের ক্রসের মাধ্যমে সোনালি মুরগি উৎপাদন করা হয়। সাড়ে ৫ মাস বয়স থেকে সোনালি মুরগি ডিম দেওয়া শুরু করে। একটি মুরগি ১৮০-২২০টি পর্যন্ত ডিম দেয়। ফেব্রুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিটি একদিনের বাচ্চার বিক্রয়মূল্য ১২ টাকা এবং নভেম্বর-জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিটি বাচ্চার বিক্রয়মূল্য ১০ টাকা।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন