ঢাকা,  মঙ্গলবার  ২৩ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

বাফুফের চাহিদা অনুযায়ী রোপণ করা হবে বিদেশি ঘাস

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ২১ জুন ২০২২

বাফুফের চাহিদা অনুযায়ী রোপণ করা হবে বিদেশি ঘাস

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে রোপণ করা হবে বিদেশি ঘাস

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ এখন উপযুক্ত ঘাস রোপণ করার জন্য। পরীক্ষামূলকভাবে দেশি প্রজাতির যে ঘাস বসানো হয়েছিল তার বেড়ে উঠা পর্যবেক্ষণ করে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার জাহান। দ্রুতই ফুটবল ফেডারেশনের চাহিদা মাফিক বিদেশি ঘাস রোপণ করে মাঠ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

দ্রুততম সময়ে মাঠ প্রস্তুত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফুটবল পিচ তৈরি কার্যক্রম। মাটির লেয়ার ঠিক করে বালি ফেলে তার ওপর রোপণ করা হয় দেশি প্রজাতির দুর্বাঘাস। বর্ষার পানিতে বৃদ্ধি কেমন হয় এরপর তা পর্যবেক্ষণে রাখে ক্রীড়া পরিষদ।

শুধু নির্ধারিত স্থানে নয়। ক’দিনের বৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অন্যান্য স্থানেও ঘাসের বৃদ্ধি হয়েছে লক্ষণীয় পর্যায়ে। যার ফলে এই ঘাস উঠিয়ে এখন দ্রুত বিদেশি ঘাস রোপণ করতে চায় এনএসসি।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার প্রকল্পের পরিচালক মুহাম্মদ সরোয়ার জাহান বলেন, 'বর্ষাকালে ঘাস লাগানোর কারণ হলো সেসময়ের বৃষ্টিতে যেন ঘাসের বৃদ্ধি ভালো হয়। গোলপোস্টের আগে যেখানে ঘাস উঠে যায় সেখানের ঘাসটা আমরা পরিবর্তন করব।' 

এর আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ফুটবল পিচে ছিল জংলী ঘাস। যার ফলে প্রায়ই আঘাত পেতেন ফুটবলাররা। তাই এবার বেশ তৎপর বাফুফে। ক্রীড়া পরিষদের কাছে বারমুডা, ইয়াঙ্গুন ও রয়েল বেঙ্গল এই তিন প্রজাতি উল্লেখ করে অন্তত দুই প্রজাতির ঘাস রোপণের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, 'আমরা যে তিন ধরনের ঘাসের কথা বলেছি তা নিয়ে সামনেই একটা মিটিং করব। সেই বৈঠকে আমাদের ফাইনাল রেজাল্টা আসবে।'

এদিকে ঘাসের পাশাপাশি স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে এনএসসি। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতেও দ্রুততম সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে করা হচ্ছে সংস্কারকাজ।

মুহাম্মদ সরোয়ার জাহান বলেন, 'আমার মাঠ প্রস্তুত। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক করা হয়েছে, মাঠ উঁচু করা হয়েছে। শুধু মাঠের ঘাস লাগানোটা বাকি। আর ড্রেনেজ সিস্টেমটা এমন ভাবে করা হয়েছে যে এখন আর এখানে পানি কোনোভাবেই জমবে না।'

নানা প্রতিবন্ধকতায় সার্বিক সংস্কারে ধীরগতি থাকলেও চলতি বছরই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ বাফুফেকে বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।