৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস
গাজীপুর কথা
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২০

তথাকথিত সিপাহী বিপ্লবের নামে ১৯৭৫ সালের এদিন থেকে শুরু হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা সেনা সদস্যদের হত্যার ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
১৯৭৫ সালের পনের আগস্টের কালরাত্রিতে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি ঘাতকরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একই প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জেলখানার অভ্যন্তরে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মাত্র চারদিন পরই সাতই নভেম্বর থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকান্ড।
১৯৭৫ সালের এদিনে তথাকতিত সিপাহী বিপ্লবের নামে প্রথমে হত্যা করা হয় তিন খ্যাতনামা মুক্তিযোদ্ধাকে। এরা হলেন- খালেদ মোশাররফ বীরউত্তম, কে এন হুদা বীরউত্তম এবংএ টি এম হায়দার বীরবিক্রম। দশম বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদর দপ্তরে অবস্থানকালে সকালে তাদের একেবারে কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে দুজন কোম্পনি কমান্ডার আসাদ এবং জলিল।
সাংবাদিক অ্যান্থনি ম্যাসকারেনহ্যাস এ ব্যাপারে তার গ্রন্থে লিখেছেন ‘এ ছাড়াও এদিন উচ্ছৃংখল জওয়ানরা একজন মহিলা ডাক্তারসহ ১৩ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এমনকি একজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রীকেও এ সময় হত্যা করা হয়।’
লেখক গবেষক গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে লিখেছেন কর্নেল শাফায়াত জামিল বিদ্রোহের খবর পেয়েও থেকে গিয়েছিলেন বঙ্গভবনে। কিন্তু যখন বিদ্রোহী সেনারা স্লোগান দিতে দিতে বঙ্গভবনের কাছাকাছি পৌঁছে যায় তখন তিনি সঙ্গীদের নিয়ে দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। এতে তার পা ভেঙ্গে যায় এবং পরে ধরা পড়েন। তার জায়গা হয় সামরিক হাসপাতালে। অবশ্য তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
এর আগে ৬ নভেম্বর ভোর রাতে গৃহবন্দী জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করতে যায় বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুকের ল্যান্সার বাহিনীর একটি দল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার অন্যতম ঘাতক ল্যান্সার মহিউদ্দিন ছিলোএই দলের নেতৃত্বে। তারা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসে কর্নেল রশিদের দুই নম্বর অ্যাটিলারি রেজিমেন্টের দপ্তরে।
গোলাম মুরশিদ আরো বলেন, মুক্তি পেয়েই জিয়াউর রহমান সদ্য নিযুক্ত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাদাত মোহামস্মদ সায়েমের অনুমতি ব্যতিরেকে বেতারে ভাষণ দিতে চলে যান। ’৭১-এর ২৭ মার্চের মতোই সংক্ষিপ্ত ঘোষণা দিয়ে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দাবি করেন। পরে অবশ্য পদবী বদলিয়ে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে গণভোট (হ্যাঁ-ভোট ও না-ভোট), প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন দিয়ে জিয়াউর রহমান নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেও তার আমলে ২০টির বেশী অভ্যুত্থথান হয়েছিল বলে বিভিন্ন তথ্যে পাওয়া যায়। এসব অভুত্থানে অসংখ্য সামরিক সদস্য নিহত হন বলে জানা যায়। প্রায় প্রতি তিন মাসে একটি করে অভ্যুত্থানের চেষ্টা হয়েছিল জিয়ার শাসন আমলে বলেও বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে গোলাম মুরশিদ বলেন, ‘একবার ফারুক-রশিদ ইত্যাদির শৃংখলা ভঙ্গকে ক্ষমা করার পর জিয়া সেনাবাহিনীকে শৃংখলার মধ্যে ফিরিয়ে আনতে খুবই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু একটার পর একটা অভ্যুত্থান সেনাবাহিনীতে হতেই থাকে। প্রতিটি অভ্যুত্থানের পর বহু সেনা সদস্যকে তিনি ফাঁসিতে ঝোলান। অনেককে বিনা বিচারে পাইকারিভাবে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়। বিশেষ করে ’৭৭ সালের ২ অক্টোবর বিমান বাহিনীর অভ্যুত্থানের পর শত শত লোককে বিনা বিচারে অথবা সংক্ষিপ্ত বিচারে হত্যা করা হয়। ফলে এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, বিমান-বাহিনীতে মাত্র ১১ জন কর্মকর্তা থাকেন। তাদের মধ্যে বিমান চালাতে পারতেন মাত্র তিনজন।’ মার্কাস ফ্র্যান্ডার মতে এই অভ্যুত্থানের কারণে আড়াই হাজার সেনা সদস্য নিহত হয়।
সর্বশেষ ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্রগ্রামে এক পূর্ণ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর মেজর মঞ্জুরসহ ১১ জন সামরিক কর্মকর্তা যাদের মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিলো সাত্তার সরকার প্রহসনের বিচারে ফাঁসি দিয়ে ও গুলি করে তাদের হত্যা করে।

- জাতিসংঘের সকল দাপ্তরিক ভাষায় অনূদিত হলো বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
- বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে: ডব্লিউএসজে
- দেশে প্রথম চালু হলো ভ্রাম্যমাণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
- গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে ৭ মার্চ পালিত
- শ্রীপুরে নিজ ঘর থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার
- বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
- ‘সে বজ্রকণ্ঠ এখনো লীন হয়ে যায়নি’
- বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের পূর্ণাঙ্গ ভাষণ
- রাজনীতির উদ্যোক্তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- ৭ মার্চের ভাষণই ছিলো স্বাধীনতার ঘোষণা: আমির হোসেন আমু
- ৭ মার্চের ভাষণ: মুক্তিযুদ্ধের মহাকাব্য
- বঙ্গবন্ধুর ভাষণ স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার চিরন্তন উৎস
- দেশে ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিন নিলেন ১ লাখের বেশি মানুষ
- ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ
- বঙ্গবন্ধুর উক্তি ও ছবি সম্বলিত ই-পোস্টার প্রকাশ
- বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করলেন ইতালির রাষ্ট্রপতি
- কোভিড-১৯ নিয়ে ‘হু’র সতর্কতা
- বিএনপি’র ৭ মার্চ পালনের ঘোষণা রাজনৈতিক ভণ্ডামি : সেতুমন্ত্রী
- শ্রীপুরে গাছে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল চালক নিহত, আহত ২
- ভালুকায় সড়ক দুর্ঘটনায় পিকআপ চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
- গাজীপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে বলৎকার, শিক্ষক গ্রেফতার
- ভালুকায় ২৫০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ, ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- কালিয়াকৈরে দুদিন ব্যাপী করোনা ভ্যাকসিনের ফ্রি নিবন্ধন কার্যক্রম
- সিলেটে মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা বিএনপির শীর্ষ নেতা!
- পরিবেশবান্ধব এলইডির আলোয় আলোকিত সড়ক
- চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাল রেলের ৮ ব্রডগেজ ইঞ্জিন
- শ্রীপুরে কারখানার আগুন নেভাতে গিয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু
- রোববার ৫ বিভাগে ঝড়ো হাওয়া-বজ্রবৃষ্টির আভাস
- দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৪০
- মেট্রো রেলের ডেমো প্রদর্শনী, দেখানো হলো যেভাবে চলবে
- চিহ্নিত প্রতারক সামিই কেন আল জাজিরার ‘প্রধান চরিত্র’!
- ‘দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হচ্ছে বাংলাদেশ’
- মাটি ছাড়া ১২ মাস ধনেপাতা চাষ করুন বাড়িতে
- ড্রাগস আর নারী: এই দুইয়ে সামি
- গাজীপুরে ৮ মহিলা ছিনতাইকারী আটক
- বাংলাদেশের ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হচ্ছে ইসরায়েলের পণ্য
- বাংলাদেশে নতুন প্রজাতির আলুর জাত `জিন আলু`
- সামির ভয়েই আমেরিকায় পালিয়ে গেলেন মিলা
- আল জাজিরার রিপোর্টে শক্তিশালী শেখ হাসিনা
- চাঁদপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে যাত্রীভর্তি বাস, ভিডিও ভাইরাল
- বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন, ক্ষুধা নিবৃতিতে বড় পদক্ষেপ ত্রিপুরার
- নিয়মিত সেক্স করলে সত্যিই কী ওজন বেড়ে যায়!
- বরই পাতা মেশানো পানিতে মৃতদের গোসল দেয়ার কারণ কী?
- ১০ হাজার বেডরুমের রহস্যময় হোটেল, ৭০ বছরেও ব্যবহার হয়নি
- নারী সাপ্লাইয়ার সামি যখন ইনফরমার
- মঙ্গলগ্রহের যেসব স্থানে বাড়ি তৈরি করা যাবে
- বাড়িতে অপরিচিত নারী, পানি পান করে একই পরিবারের ৮ জন অজ্ঞান!
- সামির ছবি দেখে আঁতকে উঠলেন শ্রাবন্তী
- ‘নিজেই বিয়ে টিকাতে পারি নাই, আরেকজনের বিয়ে নিয়ে কি মন্তব্য করব’
- গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয় কেন? জেনে নিন