গাজীপুরে চাষ হচ্ছে মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন
গাজীপুর কথা
প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২০

পবিত্র কোরআনে আত ত্বীন সূরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন এখন গাজীপুরে চাষ হচ্ছে । জেলার শ্রীপুর উপজেলার বারতোপা গ্রামে মডার্ন এগ্রো ফার্ম এ্যান্ড নিউট্রিশন নামের ফার্ম-এ ত্বীন ফলের চাষ করছে। এটি আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় বাগান দাবি কর্তৃপক্ষের।
এখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্বীন ফল ও চারা বিক্রি হচ্ছে। দিনদিন চাহিদা বাড়ার কারণে ফার্ম কর্তৃপক্ষ ফার্মটির সম্প্রসারণ করে এ ফল গাছের চারা উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। আর এই ত্বীন চাষে বেকারত্ব দূরের পাশাপাশি রপ্তানীতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সম্ভাবনাও দেখছেন মডার্ণ এগ্রো ফার্ম এ্যান্ড নিউট্রিশন নামের ফার্মের উদ্যোক্তরা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মো. আজম তালুকদার বলেন, ২০১৪-২০১৫ সালে তিনি থাইল্যান্ড থেকে জীবন্ত গাছ এবং তুরস্ক থেকে ত্বীন গাছের কাটিং নিয়ে আসেন। পরে নিজস্ব প্রোপাগেশন সেন্টারে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বজায় রেখে বারতোপা এলাকায় ২০১৭ সালে বাণিজ্যিকভাবে চারা উৎপাদন ও আবাদ শুরু করা হয়।
প্রতিটি গাছ থেকে প্রথম বছরে এক কেজি, দ্বিতীয় বছরে ৭ থেকে ১১ কেজি, তৃতীয় বছরে ২৫ কেজি পর্যন্ত ফল ধরে। এভাবে ক্রমবর্ধিত হারে একটানা ৩৪ বছর পর্যন্ত ফল দিতে থাকে। গাছটির আয়ু হলো প্রায় ১০০ বছর। তিন মাসের মধ্যেই শতভাগ ফলন আসে।
আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ডুমুর আকৃতির এই ফল সবার দৃষ্টি কেড়েছে। প্রতিটি পাতার গোড়ায় গোড়ায় ত্বীন ফল জন্মে থাকে। ত্বীন একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল, যা মরু অঞ্চলে ভালো জন্মে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে বেশ এখন মানিয়ে নিয়েছে ত্বীন।
ত্বীন কোনো রাসায়নিক সার ছাড়াই, মাটিতে জৈব ও কম্পোজড সার মিশিয়ে রোদে মাঠে ও ছাদে টবে লাগিয়ে ফল উৎপাদনে সাফল্য পাওয়া গেছে। তাই ছাদ বাগানীদের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে ছাড়াও বিদেশে এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত ও জাপানে আমাদের কাছে ত্বীন ফলের চাহিদার কথা জানিয়েছে।
ত্বীন চরম জলবায়ু অর্থাৎ শুষ্ক ও শীত প্রধান দেশে চাষ হলেও আমরা প্রমাণ করেছি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতেও ৩৬৫ দিন এ ফল উৎপাদন সম্ভব। বিদেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এ ফল আমাদের দেশে সারা বছর পুষ্টি ও ফলের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। পোশাক শিল্পের পাশপাশি বিকল্প আরেকটা সম্ভাবনা দেখছি, বাংলাদেশে ব্যাপক ত্বীন চাষ। সরকারের সহযোগিতা পেলে তা রপ্তানি করে আন্তর্জাতিকভাবে বাজার ধরা সম্ভব। ত্বীন একটি সম্ভাবনাময় ফসল। যা চাষ করে দেশের বেকরাত্ব দূর এবং রপ্তানী করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি আরো জানান, ত্বীন ছাড়াও গাজীপুরে তার বাগানে বীজ ছাড়া পেঁপে, আঠা ও বীজহীন কাঁঠাল, জৈতুন, চেরি, আপেল, মাল্টাসহ বিদেশি অনেক ফল গাছের চারা উৎপাদন ও তা সম্পসারণের কাজ চলছে। তাদের সংগ্রহে ত্বীন ফলের ১০৩টি জাত রয়েছে। তবে ছয়টি জাত তারা এখানে চাষাবাদ করছেন। জাতগুলোর ফল নীল, মেরুন, লাল, হলুদসহ বিভিন্ন বর্ণের হয়ে থাকে। এখানকার গাছে প্রতিটি ত্বীন ফল ওজনে ৭০ থেকে ১১০গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় ব্যাবস্থাপক মো. পারভেজ আলম বাবু জানান, বারতোপা এলাকায় ৭ বিঘা জমিতে ত্বীন ফলের চাষ করছেন। মাদার প্ল্যান্ট (মূল গাছ) থেকে তৈরি করা কলমের তিন মাস বয়স থেকে ফল দেয়া শুরু করে। ফল ধরার এক সপ্তাহের মধ্যে খাওয়ার উপযোগী হয়। প্রতিটি গাছে ন্যূনতম ৭০ থেকে ৮০টি ফল ধরে। সারাবছরই গাছ থেকে ফল পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছ ছয় থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। খোলা মাঠ ছাড়াও টবের মধ্যে ছাদ বাগানে ত্বীন চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে।
ছাদ বাগানের চাষিদের মধ্যেও ব্যাপক চাহিদা দেখা গেছে। ত্বীন ফল ও গাছের ব্যাপক চাহিদার কারণে সাতটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ফার্ম কর্তৃপক্ষ। এখান থেকে কলম তৈরি করে এর নিজেদের প্ল্যান্ট ছাড়াও চাষিদের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া ও যশোরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ফল বিক্রেতাসহ ভোজন রসিকরা এখান থেকে ত্বীন কিনে নিয়ে যান। প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬ কেজি ত্বীন বিক্রি হচ্ছে। যার প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা। ফলের পাশাপাশি সৌখিন চাষিরা চারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
দুইমাস বয়সী চারার পাইকারি মূল্য ৫২০ টাকা ও খুচরা মূল্য ৭২০ টাকা। এখান থেকে প্রতি মাসে দুই হাজার চারা বিক্রি হচ্ছে। ১০ থেকে ২০ হাজার টাকায় টবসহ ফল ধরা চারা বিক্রি হচ্ছে। ত্বীন গাছে রোগ জীবাণু সংক্রমণের মাত্রা একদমই কম।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ এই ফলকে ত্বীন নামে ডাকলেও অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে ভারত, তুরস্ক, মিসর, জর্দান ও যুক্তরাষ্ট্রে এটি আঞ্জির নামে পরিচিত। ডুমুর জাতীয় এ ফলটির বৈজ্ঞানিক নাম Ficus carica ও পরিবারের নাম moraceae. এ ফলটি পুরোপুরি পাকলে রসে ঠাসা ও মিষ্টি হয়ে ওঠে।
তিনি আরও বলেন, ত্বীন বাগান ও চাষ পদ্ধতি জানতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাষি, সাধারণ মানুষ বাগানটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন। পরিদর্শনে আসা বিভিন্ন চাষি ও সাধারণ মানুষ ত্বীন ফলের চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর গাজীপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাহবুব আলম জানান, আয়তনের দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় শ্রীপুরের ত্বীন ফলের প্রজেক্টটি। বাণিজ্যিকভাবে এতো বড় পরিসরে ত্বীন চাষ দেশের কোথাও করা হয়নি। আমরা এই প্রকল্পটি পরিদর্শন করে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। রোগ বালাই নাই বললেই চলে।
দেশের প্রচার মাধ্যমে ত্বীন ফলের চাষ কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও বিদেশ থেকে ত্বীনের আমদানি নির্ভরতা কমে আসার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে এই কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, ব্রেস্ট ক্যান্সার রোধে এ ফলটি খুবই উপকারি। এছাড়া নানা রোগ নিরাময়ে বিশেষ করে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ত্বীন। এটি চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ায়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও হাঁপানি রোগ নিরাময়েও সহায়তা করে। মানসিক ক্লান্তি দূর করে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালিসিয়ামসহ নানা ভেষজ গুণ।

- হাজার কোটি টাকার খাল উন্নয়নে থাকবে সাইকেল লেন ওয়াকওয়ে
- নিবন্ধন পেল রঙিন আম-ফলসা
- শ্রীপুরে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব
- গাজীপুরে ২৪ ঘন্টায় নতুন ২০ জন করোনা আক্রান্ত
- কালিয়াকৈরে কৃষক লীগের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- মুজিববর্ষে গাজীপুরে ঘর পাবে ২৮৫ পরিবার
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৫৮৪ জন
- ভালুকায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী গ্রেফতার
- টঙ্গীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী স্বপনের আত্মসমর্পণ
- শ্রীপুরের টেংরা বাজারে উন্নয়নের ছোঁয়া, খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা
- কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে পুলিশ
- নিজের নামে পদ্মা সেতু, বিরোধিতা করলেন শেখ হাসিনা
- করোনাভাইরাসের টিকা পেতে অ্যাপে আবেদন করবেন যেভাবে
- ৪৯ শিশুকে কারাগারের বদলে বই দিয়ে বাড়ি পাঠালেন আদালত
- বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সিরিয়াল কিলার, ৭ বছর বয়সেই তিন খুন
- শেয়ারবাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে
- ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলের মালিক এখন রোনালদো
- আল্লায় শেখের বেটিরে বাঁচায়ে রাহুক
- আগামী বাজেটে সর্বোচ্চ গুরুত্ব স্বাস্থ্যে, দশ খাতে অগ্রাধিকার
- ইসলামে পাত্রী দেখার পদ্ধতি ও নিয়ম : পর্ব ১
- পদ্মা সেতুর নাম `শেখ হাসিনা সেতু` করার নির্দেশনা চেয়ে রিট
- ডিপজলের বিয়ে, কনে বললেন বয়স ফ্যাক্ট না!
- জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা চিঠি
- বাংলাদেশে পৌঁছেছে ভারতের উপহার করোনা ভ্যাকসিন
- ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ ও লক্ষণ জেনে রাখুন
- বাইডেন কমলাকে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
- রেসেপি : শীতের বিকেল জমে উঠুক মালাই চিতইয়ে
- ২০৩৫ সালে বাংলাদেশ হবে ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ: প্রধানমন্ত্রী
- মাত্র ৫ মিনিটে চার্জ হবে ইলেকট্রিক কারের ব্যাটারি
- কালীগঞ্জে প্রেমের প্রস্তাবে তরুণী রাজি না হওয়ায় কিশোরের আত্মহত্যা
- পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করাহয় আহমদ শফীকে, নেপথ্যে বাবুনগরী-মামুনুলহক
- আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জীবনের শেষ তিনদিন
- ‘রয়েল এনফিল্ড’ আসছে বাংলাদেশে
- এক রাতে শিয়ালের কামড়ে আহত ৩২
- আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হচ্ছে ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন
- জামায়াত-শিবির আর জঙ্গিতে পূর্ণ হেফাজতের কমিটি
- লেখক কারিনা
- নতুন করোনাভাইরাস আসলে কি?
- পৃথিবীর শেষ প্রান্তেও করোনার হানা
- এক বাছুরের দুই মাথা ও চার চোখ
- গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দেখা মিলল শত শত আবাবিল পাখির
- মেয়েটার প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে, আমি সুষ্ঠু বিচার চাই: আনুশকার মা
- বীরত্বপূর্ণ অবদানে পদক পাচ্ছেন ৬০ বিজিবি সদস্য
- ডিলিট হওয়া ছবি ও নম্বর ফিরে পাওয়ার উপায়
- লাল কাপড় দেখিয়ে শতশত ট্রেনযাত্রীর প্রাণ বাঁচালো সাজিদ
- স্ত্রীর মৃত্যুর খবরে স্বামীর মৃত্যু,৮দিনের শিশুর দায়িত্ব নেবে কে?
- কেয়ামত ঘনিয়ে আসছে, বোঝা যাবে এসব আলামতে
- মুহূর্তেই গলার কাঁটা দূর করার ঘরোয়া উপায়
- পটকা মাছ খেয়ে প্রাণ হারালেন বউ-শাশুড়ি
- পটকা মাছ খেয়ে মা-বাবার মৃত্যু, তিন মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক