ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পাহাড়ি মৌসুমি ফলের কদর দেশজুড়ে

প্রকাশিত: ০৮:২১, ২৭ জুন ২০২০

পাহাড়ি মৌসুমি ফলের কদর দেশজুড়ে

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির হাট-বাজার এখন মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসে ভরে গেছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ সব ফল সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের অন্য অঞ্চলে।

জেলার ১০টি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপাদিত এসব ফল রাঙামাটি থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, ঢাকা, সিলেটসহ দেশের প্রায় সব জেলায়। আর ফলের বাগান করে অনেকে স্বচ্ছলতা অর্জন করছেন।

রাঙামাটির প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষিরা জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও উপকরণ সহায়তা, অনুকূল আবহাওয়া ও পাহাড়ে মাটির উর্বরতায় ফলের ভালো ফলন হয়েছে। রাঙামাটির আনাচে-কানাচে আম, লিচু, আনারস ও কাঁঠালের চাষ হয়। প্রতিদিন নৌ এবং সড়কপথে বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে এ সব ফল।  

তবে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় দুর্গম অঞ্চল থেকে ফল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। এর সঙ্গে জেলায় হিমাগার না থাকায় শেষ মুহূর্তে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
 


জেলার স্থানীয় বাজারে প্রতিশত কাঁঠাল মাত্র ২৫০০-৫০০০ টাকায়; প্রতিমণ আম ৬০০- ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনারস ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিশত আনারস ৬০০ টাকায় সংগ্রহ করছেন তিনি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, এ বছর রাঙামাটি জেলার ১ হাজার ৮৮২ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ৯৯৭ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন হয়েছে। হেক্টর প্রতি লিচুর উৎপাদন ৮.৫ মেট্রিক টন।

রাঙামাটির বাজারে দেশি লিচু, চায়না-২ এবং চায়না-৩ জাতের লিচু পাওয়া যাচ্ছে। দেশি লিচু প্রতিশত ১০০-১৫০ টাকায়; চায়না-২ প্রতিশত ১৫০-২০০ টাকায় এবং চায়না-৩ লিচু ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাঙামাটির লংগদু, নানিয়ারচর ও সদর উপজেলায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে।

জেলায় ২ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর চাষ বেশি এবং ফলনও ভালো হয়েছে। আর এবার জেলায় ৩ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমি থেকে ৫০ হাজার ৫৫০ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমের ফলনও ভালো হয়েছে।  
 


ফল চাষিরা জানান, ফলের উৎপাদন বেশি হলেও গ্রীষ্ম মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি অতিরিক্ত শুকিয়ে যাওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে ফল বাজারে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। দুর্গম পাহাড় থেকে পরিবহন ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেক বাগানেই ফল নষ্ট হবে।  

পাহাড়ে স্থানীয় পর্যায়ে বাজারজাতকরণ সুবিধা ও হিমাগার না থাকায় দ্রুত পঁচনশীল বহু ফল সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না।

ফল চাষি রূপায়ন চাকমা জানান, স্থানীয় পর্যায়ে আড়ৎ ও হিমাগার প্রতিষ্ঠা করা হলে চাষিরা সুফল পেতো। ফল চাষেও আগ্রহ বাড়তো।

রাঙামাটি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আপ্রু মারমা বলেন, পাহাড়ে মৌসুমি ফল আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারসের ভালো ফলন হয়েছে। প্রশাসন ফলসহ কৃষিপণ্য পরিবহনে বিভিন্ন সহযোগিতা দিয়ে থাকে।

গাজীপুর কথা