ঢাকা,  শনিবার  ২০ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

পাক অউ এর পবিত্র গুহা

প্রকাশিত: ০৭:৪৭, ২৬ জুলাই ২০২০

পাক অউ এর পবিত্র গুহা

‘In Xanadu did Kubla Khan
A stately pleasure-dome decree:
Where Alph, the sacred river, ran
Through caverns measureless to man...’ - Samuel Taylor Coleridge

রাজপ্রাসাদ ভ্রমণ করে রাস্তার পাশের একটি হোটেল থেকে লাঞ্চ করে রাজকুমারীর হোটেলে ফিরলাম। হোটেলের লবিতে প্রবেশ করতেই দেখি আমার পাশের কক্ষের সামনের বারান্দায় আরামকেদারায় বসে গল্প করছেন দুজন নারী। একজন ঘোর কৃষ্ণ বর্ণের। অন্যজন ধবধবে সাদা রঙের। দুজনের বয়সই ত্রিশের কাছাকাছি হবে। কালো রঙের নারীকে আমি চিনি।

লাওসে আসার পথে ব্যাংককে একদিন সারাদিন ছিলাম। এই দিন আমি রোজ গার্ডেন ও প্রাচ্যের ভেনিস খ্যাত ব্যাংকক নগরীর চারপাশ পরিভ্রমণ করেছিলাম। ইঞ্জিনের নৌকা ভাড়া করে। এই ভাড়া নৌকাতেই তিনি আমার সহযাত্রিনী ছিলেন। তার সঙ্গে আমার কোনো বাক্যালাপই হয়নি তখন। তবে সেই নৌকায় যেহেতু শুধুমাত্র আমরা দুজনেই যাত্রী ছিলাম, সেহেতু তার চেহারা আমার মনে আছে। তবে হোটেলে তিনিই আমাকে প্রথম চিনলেন এবং সঙ্গিনীকে আমার সঙ্গে তার পূর্ব সাক্ষাতের কথা বলে সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমিও আমার পূর্ণ পরিচয় দিলাম। উনারাও পরিচয় দিলেন। কৃষ্ণাঙ্গী মহিলা আমেরিকার অধিবাসী। অপর জন ফ্রান্সের। দুজনেই কর্মজীবী। কাজ শেষে ছুটিতে ভ্রমণে বেরিয়েছেন। এসেছেন দক্ষিণ এশিয়ায়। ব্যাংককে এসে তাদের পরস্পরের সঙ্গে দেখা। অতঃপর একসঙ্গেই বেড়াচ্ছেন। আমার মতোই ভিয়েনতিয়েন ভ্রমণ শেষ করে লুয়াং প্রেবাং-এ এসেছেন।

উনাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত পরিচয়ের মধ্যে আমার একটা ধারণা জন্মালো যে, অপরিচিত জায়গায় ভ্রমণ মানুষের মধ্যকার জাতপাতের ভেদাভেদ ঘুচিয়ে দেয়; সাময়িক সময়ের জন্যে হলেও। সম্ভবত অন্যের সহযোগিতার কিছু প্রয়োজন হয় বলে। খুবই আগ্রহ সহকারে তারা আমার লুয়াং প্রেবাং ভ্রমণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা নিলেন। এমনকি বিকেলে আমার কী প্রোগ্রাম আছে সেটি সম্পর্কেও জানতে চাইলেন। আমি তাদেরকে মিঃ জ্যাকসনের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা জানিয়ে বললাম যে, বিকেল ৫টার দিকে আমি উনার বাসায় যাব। গল্প করতে। ফরাসী মহিলা উৎসাহিত হয়ে উঠলেন। বললেন, ‘আমরাও আপনার সঙ্গে যেতে ইচ্ছুক।’ আমি হেসে দিলাম। বললাম, ‘উনি আসার পর উনার সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব।’

মাত্র দুইদিনের পরিচয় হলেও আমার ভেতরে ধারণা জন্মেছে যে, মি. জ্যাকসন একজন খুবই সামাজিক ও আতিথেয়তাপ্রবণ মানুষ। তিনি উনাদের আমন্ত্রণ করতে পারলে খুশিই হবেন। বাস্তবেও ঘটল তাই। বিকেলে উনাদেরকে দেখে মি. জ্যাকসন খুবই উচ্ছ্বসিত হয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে পরিচিত হলেন এবং আনন্দময়তার সঙ্গে উনাদেরও আমন্ত্রণ জানালেন নিজ বাসস্থানে। সবাইকে একসঙ্গে। বিকেলের চায়ের আসরে। সন্ধ্যার একটু পূর্বে আমরা তার বাসস্থানে পৌঁছলাম। মেকং তীরের উন্মুক্ত পাটাতনের উপরে শুরু হলো আমাদের আনন্দমুখর সন্ধ্যার।

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে মি. জ্যাকসন বললেন যে, লাওসকে কেইভ বা গুহার দেশও বলা হয়ে থাকে। বিশেষ করে লাওসের এই উত্তরাংশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অন্তত এক সহস্র গুহা। প্রতিটা গুহাই অসাধারণ ধরণের। এগুলোর অধিকাংশই সৃষ্ট হয়েছে চুনাপাথরের পাহাড় বা মালভূমির ভেতর দিয়ে নদী বা প্রপাতের প্রবাহ বা দিক পরিবর্তনের ফলে। সহস্র বছর বা তারও পূর্বে। সৃষ্টি করেছে ভূগর্ভস্থ অন্ধকার বা রঙবেরঙের গুহা, হ্রদ নদী ইত্যাদির। মধ্য লাওসে Xe Bang Fai River cave নামে একটি রিভার কেইভ আছে, যেটা পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় রিভার কেইভ। এর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে একটা নদী, যার দৈর্ঘ ৪ মাইল। এই গুহাটির উচ্চতা ৩৯০ ফুট ও প্রস্থ ৬৫০ ফুট। এই গুহাটিতে ছাঁদ থেকে ঝুলে রয়েছে ঝুরির মতো লম্বা লম্বা চুনামাটির দণ্ড (stalagmite) ও খনিজ পাথরের মুক্তা। এমনকি গুহার ভেতরে আছে প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ভূগর্ভস্থ বাগান ও ফসিল পথ। আমি বিমুগ্ধ।

লাওসের অধিবাসীদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে এই গুহাগুলো বিশাল গুরুত্ব বহন করে এসেছে যুগে যুগে। এই অঞ্চলে বৌদ্ধ ধর্মের আগমনের পূর্বে স্থানীয় উপজাতিরা এই গুহাগুলোকে নদীর আত্না (river spirit) বা নদীর দেবতাদের বসবাসের স্থান বলে বিশ্বাস করত এবং পূজো অর্চনা করত। এরপর চতুর্দশ হতে ষোড়শ শতাব্দী সময়কালে ভারত হতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই অঞ্চলে আগমন করে। তারা নদী-তীরের বিভিন্ন গুহাগুলোকে নিজেদের বসবাস ও সাধনার স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে। এমনকি রাজ পরিবারের ভিক্ষুরাও এই গুহাগুলোতে তখন থেকে বসবাস শুরু করে।

১৯৬৪ সন থেকে ১৯৭৩ সন পর্যন্ত সময়ের মধ্যে লাওসের সিভিল ওয়ারের সময়ে এই গুহাগুলো ব্যবহৃত হয় কমিউনিস্ট ‘প্যাথেট লাও’ এর বাংকার, ঘুমানোর স্থান এবং অফিস হিসেবে। এই গুহার একজন বিখ্যাত বাসিন্দা ছিলেন Prince Souphanouvong (রেড প্রিন্স হিসেবেই সমধিক পরিচিত), যিনি প্যাথেট লাওকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি এই গুহাগুলোতে অবস্থান করেই আমেরিকার মদদপুষ্ট লাওসের রাজকীয় পরিবারের বিরুদ্ধে তিনি সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। জানা যায়, এই গুহাগুলোতে ৪৮০টি পরস্পর সংযুক্ত চেম্বারে আনুমানিক ২৩,০০০ প্যাথেট লাও সদস্যরা বসবাস করত। এছাড়াও এগুলোর ভেতরে স্থাপিত হয়েছিল প্যাথেট লাও এর সদর দপ্তর এবং একটি হাসপাতাল, যেখানে যুদ্ধে আহতদেরকে চিকিৎসা প্রদান করা হত। উল্লেখ্য, এই গুহাগুলোর ভেতরে অবস্থান করেই প্যাথেট লাও এর সদস্যরা আমেরিকান বোমাবর্ষন থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করত, যেমন করে হোচিমিনের নেতৃত্বাধীন ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা দক্ষিণ ভিয়েতনামের সাইগনের পাশে মাটির নিচে নির্মিত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের কুচি টানেল নেট ওয়ার্ক ব্যবহার করত।

মি. জ্যাকসন আমাদের, বিশেষ করে আমাকে বললেন যে, আমি যেন লুয়াং প্রেবাং ত্যাগ করার পূর্বে অবশ্যই এখান থেকে নদীপথে মাত্র দেড় থেকে দুই ঘণ্টা দূরের পাক অউ কেইভ (Pak Ou Cave) দেখে যাই, নতুবা আমার এই ভ্রমণ অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। সঙ্গে সঙ্গে আমার সহযাত্রিনী দুইজন জানালেন যে, তারাও আমার সঙ্গে এই ভ্রমণে যেতে ইচ্ছুক। সিদ্ধান্ত নেয়া হলো পরেরদিন সকালে আমরা নৌকায় করে পাক অউ কেইভ দেখতে যাব।

পাক অউ শব্দের অর্থ অউ নদীর মুখ বা মোহনা। গুহাগুলি লুয়াং প্রেবাং থেকে ২৫ কিলোমিটার উত্তরে মেকং এবং অউ নদীর সংযোগস্থলে অবস্থিত। নদীপথেই এই গুহায় পৌঁছানো সবচেয়ে সহজ। চুনাপাথরের খাঁড়া বাঁধ বা ক্লিফ (cliff) থেকে নদীর জল থেকে পাহাড়ের গায়ে এর অবস্থান। প্রার্থনার স্থান হিসেবে পাক অউ কেইভগুলোর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এক সময়ে এই স্থান প্রকৃতির দেবতার প্রতি নৈবেদ্য উতসর্গ করার স্থান ছিল। তবে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এই এলাকায় আগমনের পর থেকে এগুলো তাদের প্রার্থনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। এক সময়ে প্রতিবছর লুয়াং প্রেবাং এর রাজা এই প্রার্থনাস্থল পরিদর্শন করতেন। এখনো লাওসের নতুন বছরে গ্রামবাসীরা বা তীর্থযাত্রীরা নদীপথে এখানে আগমন করে এবং গুহার ভেতরে রক্ষিত বুদ্ধের মূর্তিগুলোকে স্নান করায় ও পরিচর্যা করে। এছাড়াও তারা এখানে ধূপ জ্বালিয়ে থাকে এবং মূর্তিগুলোর সামনে পুষ্প নিবেদন করে থাকে এবং সেগুলোর চারপাশে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখে। বিনিময়ে তারা নতুন বছরের জন্যে সৌভাগ্য কামনা করে থাকে।

পরদিন সকাল ৮টার দিকে আমরা নৌকায় করে পাক অউ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। ইচ্ছে করেই আমরা ছোট একটি নৌকা ভাড়া করেছি, যাতে ইঞ্জিনের শব্দ কম হয়। যাত্রাপথে একটা বিষয় খেয়াল করলাম যা মি. জ্যাকসন আমাদেরকে বলেননি। সেটা হল পাক অউ যাবার পথে নদীর দুই পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা, যার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎ হবে। নদীপথে যেতে যেতে আমরা দেখলাম নদীতীরের অসাধারণ সুন্দর লাওসের গ্রামগুলো এবং একের পর এক অতিক্রম করা চুনাপাথরের পর্বতগুলোর সৌন্দর্য। আমাদের চোখে রীতিমত মায়ার অঞ্জন বুলিয়ে দিচ্ছিল। আমার মনে হচ্ছিল আমি ভিন্ন কোন পৃথিবীতে চলে এসেছি।

পাক অউ কেইভ Tham Ting বা নিম্ন গুহা এবং Tham Theung বা উপরের গুহা নামে পরিচিত দুটো প্রাকৃতিক গুহার সমন্বয়ে গঠিত। জানা গেল যে, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে লাওসের স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাসস্থান বা মন্দির হতে পুরানো বা আংশিক ভাঙা বুদ্ধের মূর্তিকে এখানে এনে সাজিয়ে রাখে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পাক অউ পর্বতের কাছাকাছি আমাদের নৌকা আসতেই আমরা Tham Ting বা নিম্ন গুহাকে দেখতে পেলাম। আমাদের নৌকাতে আসা গাইড জানালো যে, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আগমনের পূর্বে এই গুহাটি ফি (phi) নামের নদী দেবতার বসবাসস্থল ছিল বলে স্থানীয়রা বিশ্বাস করে থাকে। গুহাটি মেকং নদীর জল থেকে প্রায় ৩০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। একটা সাদা পাথরের সিঁড়ি এঁকেবেঁকে উপরের দিকে উঠে গেছে। অনেকগুলো সিঁড়ি বেয়ে প্রায় ক্লান্ত হয়ে উপরে উঠতেই আমরা কিছুটা অন্ধকারাচ্ছন্ন একটি গুহার ভেতরে প্রবেশ করলাম। বিশাল একটি গুহামুখ ক্রমশ সরু হয়ে পর্বতের ভেতরে ঢুকে গেছে। লক্ষ্য করলাম যে গুহা মুখ দিয়ে সুর্যের আলো ভেতরে প্রবেশ করার কারণে অদ্ভুত আলোআঁধারির সৃষ্টি হয়েছে। এই আলোআঁধারির ভেতরে গুহার বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধের বিভিন্ন মুদ্রার মূর্তি স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। Tham Ting বা নিম্ন গুহাতে বুদ্ধের অন্তত ৪০০০প্রতিমূর্তি রয়েছে। বিভিন্ন মূদ্রায় দাঁড়িয়ে বা বসে আছে। কিছু কিছু মূর্তি শয়নাবস্থা বা বুদ্ধের নির্বাণকেও প্রতিবিম্বিত করছে।

Tham Ting ভ্রমণ শেষ করে আমরা Tham Theung এর দিকে যাত্রা শুরু করলাম। নিম্ন গুহার বাইরে হতে পাহাড়ের গা বেয়ে উঠে যাওয়া একটা খাঁড়া অথচ বনাচ্ছাদিত সিঁড়িপথ দিয়ে আমরা উপরের গুহাটিতে পৌঁছলাম। এর গুহামুখটি খোঁদাই করা কাঠের, যার উপরে মেটালের কারুকার্যখচিত করা আছে। এই গুহাটি পূর্বের গুহার চেয়ে গভীর, কিন্তু ভেতরে বাইরের আলো প্রবেশ করে খুবই কম। গুহাটির ভেতরে নীচের গুহার চেয়ে কম সংখ্যক বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। তবে আলোর সল্পতার কারণে সেগুলোর অধিকাংশই দৃশ্যমান নয়। গাইড আমাদেরকে জানালো যে, টর্চ দিয়ে আলো জ্বেলে মূর্তিগুলো দেখা সম্ভব। কিন্তু আমার কাছে কোন টর্চ না থাকাতে গাইড ও ফরাসী মহিলার টর্চের আলোতে কিছু মূর্তি দেখলাম। কিন্তু তেমন কিছু না দেখা যাওয়াতে দ্রুতই সেখান হতে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

তবে বেড়িয়ে আসার পথে গাইড গুহার একদিকের দেয়ালে টর্চ ফেলতেই দেখলাম দেয়ালের লালচে রঙ দিয়ে কিছু ছবি আঁকা। অস্পষ্ট। সময় করে আলোতে দেখতে পারলে হয়ত বোঝা যেত সেগুলো কিসের ছবি। কিন্তু আলোর সল্পতার কারণে তা সম্ভব নয়। তবে মুহূর্তের ভেতরে আমি দেখে নিয়েছি প্রাচীন কাল থেকে বর্তমান। মনে পড়ে গেল প্রাচীন মায়া সভ্যতার কথা। ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে আমাদের আর্টের শিক্ষক সুজা হায়দার পড়িয়েছিলেন এবং ছবি দেখিয়েছিলেন আমাদেরকে। উত্তর-মধ্য আমেরিকা থেকে গুয়াতেমালা, এল সালভাদোর, মেক্সিকো এবং হন্ডুরাস পর্যন্ত বিস্তৃত এক প্রাচীন মানব সভ্যতা, যেখানে যুথবদ্ধ শিকারী মানুষেরা গুহার বুকে শিকার করা পশুর রক্ত বা প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে গুহার দেয়ালে আঁকছে তাদের শিকারের কাহিনী। পরবর্তী প্রজন্মের জ্ঞান বা অনুসন্ধানের জন্যে। অথবা নিজেদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানান দিয়ে যাবার জন্যে।

গুহার মুখ দিয়ে বের হতেই বাইরে রৌদ্র করোজ্জ্বল পৃথিবী। দূরে নিচে মেকং এর জল উজ্জ্বল আলোতে রূপার মতো চকচক করছে। মুহূর্তের ভেতরে আমার সন্ত পরমহংস যোগানন্দের (Paramahansa Yogananda) উদ্ধৃতি মনে পড়ে গেলঃ

‘It doesn't matter if a cave has been in darkness for 10,000 years or half an hour, once you light a match it is illuminated.’

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন