ঢাকা,  শুক্রবার  ২৯ মার্চ ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ড্রাগস আর নারী: এই দুইয়ে সামি

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ড্রাগস আর নারী: এই দুইয়ে সামি

আল-জাজিরার মাধ্যমে আলোচিত সামি। যদিও ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামের প্রতিবেদনে তার ঠিকুজী গোপন করা হয়েছে। কিন্তু অনুসন্ধানে তার সম্পর্কে পাওয়া গেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সামির বাবা সেনা বাহিনীতে একজন চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলো। সামীর বয়স যখন ১৪ বছর তখন একটি সড়ক দূর্ঘটনায় তার মা এবং ছোট ভাই মাহি মারা যায়। এর দুবছর পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন, তখন থেকেই সৎ মায়ের সংসারে শুরু হয় সামির বখাটে জীবন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই সে মাদকাসক্ত হয়ে পরে। তার বাবার ঢাকায় পোস্টিং হবার পর, সে বাবার ইউনিফর্ম পরে এক নারীকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। তখন সে নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। ঐ মেয়েকে বিয়ে করে পালিয়ে যায় সামি। এর কিছুদিন পর তার বাবাও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। কিছুদিন পর প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেয়। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মাধ্যমে সামির সাথে পরিচয় হয় তারেকের। এসময় সামী আস্তে আস্তে নারী সরবরাহের দালাল হয়ে ওঠে। এসময় মামুন তার বিনোদনের আখড়া বানায় গাজীপুরে, খোয়াব ভবনে। এখানে নিয়মিত মেয়ে নিয়ে যাওয়া ছিলো তার প্রধান কাজ। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় এলে, সামির প্রভাব প্রতিপত্তি দুই ই বেড়ে যায়। এসময় মামুন-তারেক আগে যেতো দুবাই। পরে পছন্দের নারী নিয়ে সামি যেতো। মূলত: দুবাই ছিলো মামুন এবং তারেকের প্রমোদ স্পট। মামুনের সূত্রে সিনেমা এবং নাটকের অনেকের সঙ্গে পরিচয় হয় সামির। খুলে বসে এক ইভেন্ট ফার্ম। তারেক এবং মামুনের মনোরঞ্জনই ছিলো স্বামীর একমাত্র পেশা। এসময় ঢাকায় অনেক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পরে সামি। একটু বিত্তশালী হয়ে আরেক সেনাকর্মকর্তার মেয়েকে বিয়ে করেন সামি। দ্বিতীয় স্ত্রীর পিতাই তাকে দেশে কিছু একটা ঘটছে বলে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। হাঙ্গেরীতে গিয়ে সামি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে ইউরোপ আওয়ামী লীগের সংগে ঘনিষ্ঠ হয় সামি। ২০১০ সালে আবার তারেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে সামী। সেই থেকে সে বাইরে আওয়ামী লীগ আর ভেতরে তারেকের এজেন্ট।

গাজীপুর কথা

আরো পড়ুন