ঢাকা,  শুক্রবার  ১৯ এপ্রিল ২০২৪

Gazipur Kotha | গাজীপুর কথা

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি এবং কেন?

প্রকাশিত: ০৮:২৭, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি এবং কেন?

বর্তমানে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তির মধ্যে আছে এবং বিরোধীতা করছেও অনেকে। কিন্তু আমাদের জানা উচিত আসলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি বা কেন ডিজিটাল আইন করা হলো। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে ছিল না, সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিল না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিণীকে যখন অপবাদ দেওয়া হয়, বিভন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হয়, একজন সাধারণ মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে সে নিরাপত্তা পাবে, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এ জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। 

আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ানো হয় আসলে যার কোন ভিত্তিই নেই আবার অনেকে স্বাধীন মতপ্রকাশের নামে অন্যের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানা বা কোন ব্যক্তির সম্মান হানী করে যারা ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। যার প্রেক্ষিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়।

সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও করোনাকালে সফলতাসহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতির পরেও আমরা দেখেছি পদ্মা সেতু তৈরি বা করোনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব বা অপপ্রচার করা হয় ডিজিটাল প্লাটফর্মে এজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনস্বীকার্য।

ডিজিটাল আইন যাদের জন্য

ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ অরাজকতা সৃষ্টি করলে, কেউ যদি ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ যদি জনগণকে আক্রমণাত্মক ভয়ভীতি দেখায় এবং রাষ্ট্রের ক্ষতি করে, কেউ যদি বেআইনিভাবে কারও ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করে,  মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনও ধরনের প্রপাগান্ডা চালালে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘কটূক্তিমূলক’ পোস্ট দেওয়া, মিথ্যা পোস্ট শেয়ার করা, কার্টুন বা ব্যঙ্গাত্মক চিত্র আঁকা, অনলাইন বা ডিজিটাল প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা, গুজব রটানো ও মিথ্যাচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি চেষ্টা করা, কম্পিউটার হ্যাকিং, ছবি বিকৃতি বা অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছেকৃতভাবে বা অজ্ঞাতসারে কারো ব্যক্তিগত ছবি তোলা, প্রকাশ করা বা বিকৃত করা বা ধারণ করার মতো অপরাধ করলে, ইন্টারনেটে পর্নগ্রাফি ও শিশু পর্নগ্রাফির অপরাধে ডিজিটাল আইনে মামলা হতে পারে। 

ডিজিটাল মাধ্যমে এই ধরনের অপকর্ম থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে বাংলাদেশ সরকার।

গাজীপুর কথা